দিঘাতে জগন্নাথধামের উদ্বোধন। তবে এটি ধাম নাকি মন্দির তা নিয়ে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে জগন্নাথধামকে কেন্দ্র করে একেবারে বদলে গিয়েছে দিঘা। চারদিক সেজে উঠেছে। অপূর্ব সুন্দর লাগছে দিঘাতে। সেই সঙ্গেই দিঘায় একেবারে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। ভিভিআইপিরা গিয়েছেন দিঘায়।
দ্বারোদঘাটন করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি মন্দিরের চারদিক ঘুরে দেখেন। সাধু সন্তরাও ছিলেন। আর ছিলেন নেতা মন্ত্রীরা। চারদিকে নিরাপত্তার বলয়। জগন্নাথধামের দ্বার খুলে দেওয়া হল সাধারণ ভক্তদের জন্য।
অনেকে বলছেন একদিকে দাউ দাউ করে জ্বলে গেল কলকাতার হোটেল। একের পর এক মৃত্যু। এসবের মধ্যেই দিঘাতে মহা ধূমধাম করে হয়েছিল জগন্নাথধামের উদ্বোধনের প্রস্তুতি। একের পর এক দেহ বের করে আনা হয় হোটেল থেকে। সব মিলিয়ে ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে সূত্রের খবর, আরও একজনের হাসপাতালে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে খবর। তার মধ্য়েই জগন্নাথধামের উদ্বোধনে এলাহি আয়োজন।
এসবের মধ্য়েই কী লিখলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, 'আমি হিন্দু। আমি সেকুলারিজমে বিশ্বাসী। আমি ঈশ্বর মানি, বিশ্বাস করি সর্বশক্তিমানকে, সাধনা ও পরিশ্রমের পাশে থাকেন তিনি। আমি পুজোয় থাকি। আমি একটি প্রাচীন মঠ ও মিশনের সহসভাপতি। আমি অন্য ধর্মের আচার ও উৎসবকে সম্মান করি। আমি খাদ্যরসিক। আমি নিরামিষাসী নই। আমি আমিষ ভালোবাসী। এবং বাংলায় এই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাটা আছে।'
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১০টা বাক্য তিনি লিখেছেন এক্স হ্যান্ডলে। তার মধ্য়ে ৯টিতেই আমি। অর্থাৎ আমি হিন্দু। আমি সেকুলারিজমে বিশ্বাসী. আমি ঈশ্বরে মানি।
তবে এই পোস্টের জবাবে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেটপাড়া। নানাজনে নানা কথা লিখছেন। একজন লিখেছেন, সবই বুঝলাম। কিন্তু এই কালচারাল সেন্টার উদ্বোধনে মেয়র ববি হাকিম আসল না কেন? অপর একজন লিখেছেন, খাঁটি হিন্দু নন। সোজা ভাবে বললেই হয়। অপর একজন লিখলেন কলকাতার মানুষ পুড়ে মরুক আপাতত মন্দির বানানো চলবে।…
এরপরই জগন্নাথধামের অনুষ্ঠানে একের পর এক ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে জগন্নাথ দেবের মূর্তির সামনে গামছা গলায় কুণাল ঘোষের ছবি দেখা যায়। নিজেই পোস্ট করেছেন সেই ছবি।
এদিকে এই জগন্নাথধামকে কেন্দ্র করে সাধারণ ভক্তদের মধ্য়ে উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। অপূর্ব স্থাপত্য। তবে পর্যটকদের একাংশের দাবি, নিরাপত্তার কড়াকড়ির জেরে সাধারণ পর্যটকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।