দিঘায় জগন্নাথধাম উদ্বোধন উপলক্ষে কি আমিষ খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানা হয়েছে? এই প্রশ্নটা ঘুরছে অনেকের মনে। আর সেই প্রশ্ন ওঠার একটা বড় কারণ হল সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তির প্রতিবেদন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই প্রতিবেদন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল মন্দির উদ্বোধন, দুদিন আমিষ বন্ধ।
এদিকে একথা ছড়িয়ে পড়তেই স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই দিঘাতে বহু মানুষ যান আমোদপ্রমোদ করতে ফূর্তি করতে। অনেকেই এখন দিঘাতে এসেছেন জগন্নাথমন্দির দর্শনের জন্য এমন নয়। অনেকেই এসেছেন দুদিন একটু ফূর্তি করতে। কিন্তু সেখানে নিরামিষ খেতে হলে তো মহা জ্বালা। এনিয়ে পর্যটকদের মধ্য়েও শোরগোল পড়ে যায়।
কী লেখা হয়েছিল সেই প্রতিবেদনে?
সেই প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল, অঘোষিত কার্ফু দিঘায়। হোটেলের বাইরেও বেরোতে পারবেন না কেউ। খাওয়া যাবে না মাছ মাংস ডিম। স্থানীয় বিধায়ক রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এই নিরামিষ খাওয়ার নির্দেশিকার কথা স্বীকার করে বলেছেন, দুদিন গেলে আবার আমিষ খাওয়া যাবে।'প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে লেখা হয়েছিল দিঘায় এই দুদিন মদ বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। এমনকী মন্দির উদ্বোধনের এই ধরনের বন্দোবস্তে আরএসএস খুশি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে এবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি পমফ্রেট মাছ দিয়ে ভাত খাচ্ছেন। পাতে পেঁয়াজের টুকরোও রয়েছে।
সেখানে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,
'সিপিএম ও গণশক্তির জন্য:
বুধবার, এখন দিঘাতে লাঞ্চ। পমফ্রেট মাছসহ।
আপনাদের কুৎসা: এখানে আমিষ বন্ধ ও মুসলমানদের বেরনো নিষিদ্ধ, মানুষ হাসছেন।
কোনো কোনো সমিতি ও সংস্থা আবেদন করেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন বলে নিরামিষ খান। এটা স্বাভাবিক। অনেকেই নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু, যাঁরা আমিষ খেতে চাইছেন, তাঁদের জন্য কোনো বাধা নেই। কেউ কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।
আর হ্যাঁ, হিন্দু, মুসলমান, খৃস্টানসহ দিঘা পর্যটনে, রাস্তায়, সাগরতটে সবাই রয়েছেন। খেজুরির যুবনেতা জালালের সঙ্গে আমিই তো রাতে রাস্তায় আড্ডা মারলাম, চা খেলাম। আরও পরিচিত মুসলমান রয়েছেন। কারা বলছে দিঘায় মুসলমানদের বেরনো বারণ?
সিপিএম এখন হতাশার বিষ ছড়াতে মরিয়া।'
একেবারে সরাসরি আক্রমণ। তিনি খাবার প্লেটের ছবি দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে আমিষ খাওয়া বারণ বলে যে প্রচার করা হচ্ছিল তা আদৌ সত্যি নয়। 'সিপিএম এখন হতাশার বিষ ছড়াতে মরিয়া। '