প্রাথমিক ভাবে নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে অভিযোগ উঠে এসেছিল। তারপর কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজেও একই অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার। আর এবার এই একই অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহা বিদ্যালয়ে। এদিকে সরস্বতী পুজোয় বাধার অভিযোগ তুলে কলেজ অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজে সরস্বতী পুজো করার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই। এই আবহে পুজোর জন্যে টাকা দিচ্ছে না গাভার্নিং বডি। (আরও পড়ুন: ইউনুসের বাংলাদেশের জন্যে বাজেটে কত বরাদ্দ ভারতের? গতবারের তুলনায় বাড়ল না কমল?)
আরও পড়ুন: নির্দেশ এল স্পিকারের... সংসদে পেশ হবে ওয়াকফ যৌথ কমিটির রিপোর্ট এবং যাবতীয় প্রমাণ
জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর অনুমতি এবং পুজো করার অর্থের দাবিতে শনিবার বিকেল ৪টে থেকে অধ্যক্ষ পাপুন বিশ্বাসকে তাঁর ঘরে আটকে রাখেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা। এদিকে এই বিতর্কের আবহে কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, সরস্বতী পুজোর জন্য কোনও অনুমতি লাগে না। পুজোর টাকার জন্য অনুমোদন পেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, কলেজে পুজো হবে। তিনি ঘেরাও হওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন। (আরও পড়ুন: বিয়ে করা যাবে না মায়ের মায়ের বাবার বিধবাকে! UCC-তে ৩৭টি সম্পর্কে ‘না’)
আরও পড়ুন: শিয়রে ভোট, কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে এহেন দিল্লি কত টাকা পাচ্ছে?
এর আগে সম্প্রতি কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছ অধ্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলি দুষ্কৃতী সাব্বির আলি। পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। বলেন, রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব। প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তার দলবল ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে খোঁজখবর করতে শুরু করেন। খোদ শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন বলে সূত্রের খবর।