খোকা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের। তারপরেও সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনেকেই আর্থিক উপার্জনের লোভে প্রচুর পরিমাণে খোকা ইলিশ জালে তুলছেন এবং সেগুলি বাজারে পাচার করছে। তার জন্য নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন পুলিশ এবং মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা। তাতে প্রচুর পরিমাণে খোকা ইলিশ উদ্ধারও হচ্ছে। শুক্রবার ফের ডায়মন্ড হারবারের নাগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তের সামনে থেকে প্রচুর পরিমাণে খোকা ইলিশ উদ্ধার করল পুলিশে এবং মৎস্য দফতর। যার পরিমাণ সাড়ে ৩ কুইন্টাল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জনমানবহীন ইলিশ ভরতি ট্রলার উদ্ধার পুলিশের, সেই ১ কুইন্টাল মাছই এবার নিলামে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত খোকা ইলিশ ট্র্যাকে করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন খুচরো বাজারে পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ এবং মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে এই পরিমাণ খোকা ইলিশ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া খোকা ইলিশ নিলাম করে দিয়েছে মৎস্য দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার জানিয়েছেন, শুক্রবার ৪০ কেজি খোকা ইলিশ ৪০ টাকা কেজি দরে নিলাম করা হয়েছে এবং সাড়ে ৩ কুইন্টাল খোকা ইলিশ ৮০ টাকা কেজি দরে নিলাম করা হয়েছে। নিলামের সময় মৎস্য দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসনের অধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সমুদ্রের এই রূপোলি শস্য বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান চলবে।
এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মাইতি জানান, এই ধরনের পদক্ষেপ খুবই ভালো। সাধারণত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ২৩ সেন্টিমিটারের নিচে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অবাধে খোকা ইলিশ ধরা এবং কেনাবেচা চালিয়ে যাচ্ছে। যাঁরা এই ইলিশ ধরা এবং কেনাবেচা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।