বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম দফায় প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়বে। প্রাথমিকভাবে নবান্ন থেকে কয়েকজনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রতিটি জেলা থেকে দু'জন উপভোক্তাকে বাছাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর বাকি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা পড়বে। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ১১ লাখ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তিতে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০,০০০ টাকা জমা পড়বে। আর তারপর বাড়ির কাজ শুরু হলে মিলবে বাকি ৬০,০০০ টাকা। অর্থাৎ দুটি কিস্তি মিলিয়ে প্রত্যেক উপভোক্তা মোট ১.২ লাখ টাকা পাবেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
প্রতিশ্রুতি মতো কাজ রাজ্য সরকারের
এমনিতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় প্রথম কিস্তির টাকা যে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা হবে, সে বিষয়ে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো প্রস্তুতি চালানো হতে থাকে। কাদের কাদের প্রাথমিকভাবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে, সেটার তালিকা পঞ্চায়েত দফতরের হাতে চলে আসে। সেই তালিকা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আজই সেই কাজটা শেষ হয়ে যাবে। আর তারপর প্রথম দফার ৬০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে বলে সূত্রের খবর।
অন্যত্র যেন না যায় টাকা, নির্দেশ রাজ্যের
আর সেই টাকা নিয়ে যাতে কোনও বিতর্ক না হয়, সেজন্য রাজ্য সরকারের তরফে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ন'দফার নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন। যা পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে। তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে দ্রুত বরাদ্দ টাকা বিডিও স্তরে পাঠাতে হবে। যে ব্লক বা পঞ্চায়েতের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটা যাতে অন্যত্র না চলে যায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্যাব-কাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়
শুধু তাই নয়, ট্যাব-কাণ্ডের মতো যাতে বিপত্তি না ঘটে এবং কোনও উপভোক্তার টাকা যাতে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কোথাও কোনও গাফিলতি হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া যাতে মসৃণভাবে হয়, সেজন্য প্রতিটি ব্লকে দায়িত্ব দিতে হবে একজন সরকারি আধিকারিককে। তিনি নিশ্চিত করবেন যে বৈধ উপভোক্তাদের কাছে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। আর তাছাড়া পোর্টালে তোলা হবে উপভোক্তাদের প্রদান করা অভিন্ন নম্বর। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে উপভোক্তাদের ফোনে মেসেজ চলে যাবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।