বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দু'দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। তার ওপর সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এই আবহে সীমান্তবর্তী রেল লাইন এবং স্টেশনগুলিতেও নাশকতার আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া স্টেশন এবং রেললাইনে সতর্কতা জারি করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। জোনের প্রধান নিরাপত্তা কমিশনার এ বিষয়ে লিখিত নির্দেশিকা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস নিয়ে পাক মন্ত্রীর ‘৩ দশক ধরে নোংরা কাজ’ মন্তব্যে প্রশ্ন যেতেই US বলল…
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা পহেলগাঁও হামলার আবহে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত রেল লাইন বা স্টেশনগুলি নিরাপদ নয়। সেই পরিস্থিতিতে নজরদার বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল। জানা গিয়েছে, রেলের সমস্ত কর্মীদের নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নিয়মিত ট্রলি দিয়ে রেল লাইন যাচাই করতে হবে। এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ লাগোয়া স্টেশন এবং রেল লাইনগুলিতে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রেললাইন এবং স্টেশনে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। যেমন ২০০৬ সালে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির মধ্যবর্তী বেলাকোবা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় আলফা জঙ্গিরা জড়িত ছিল। পরে ২০১৩ সালে বানারহাট স্টেশনের কাছে রেল লাইনের রড সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও, আরও একাধিক নাশকতামূলক কাজকর্ম ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশন রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার মধ্যে অবস্থিত। যার মধ্যে রয়েছে বালুরঘাট, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, গঙ্গারামপুরের মতো স্টেশনগুলি। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী এই স্টেশনগুলিতে এবং রেললাইনে সমস্ত বিভাগের কর্মীদের উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, উত্তরবঙ্গের চিকেনস নেক নিয়ে নিরাপত্তার ঝুঁকি সব সময় থাকে। সেই অবস্থায় পহেলগাঁও হামলার আবহে আরও সতর্ক হচ্ছে রেল।