ঠোঁট মুখের সব থেকে সেনসিটিভ অংশ। শুধু শীতকাল নয় গরমকালেও ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা দেখে দিতে পারে। ঠোঁট ভালো রাখার জন্য অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। ঠোঁটের প্রতি অবহেলা করলে শুষ্কতা, ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য ঠোঁটকে রক্ষা করতে এবং পুষ্টি দিতে একে আদ্র রাখা উচিত। আর ঠোঁটকে সব থেকে ভালো আদ্রতা দিতে পারে লিপ বাম। কিন্তু লিপ বাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁর উপাদান অবশ্য ভালো দেখে তারপর ব্যবহার করা উচিত। না হলে ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার পাশপাশি আরও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভালো লিপ বাম অনেকটা সময় পর্যন্ত ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখে। ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ করে। তবে লিপ বাম কেনার আগে এই পাঁচটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।
হাইড্রেটিং উপাদান: মোম, নারকেল তেল এবং শিয়া মাখনের মতো হাইড্রেটিং উপাদান সমৃদ্ধ লিপ বাম বেছে নিতে পারেন। এই উপাদানগুলি দীর্ঘস্থায়ী আর্দ্রতা প্রদান করে। শুষ্কতা বা ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রশমিত করে। এই উপাদানগুলি ঠোঁটকে সুস্থ ও নরম রাখতে সাহায্য করে।
এসপিএফ সুরক্ষা: ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করার জন্য সব সময় লিপ বামে SPF আছে কিনা তা দেখে তবে কিনুন। SPF রোদে পোড়া এবং অকাল বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে। SPF যুক্ত লিপ বাম প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর প্রদান করে, এমনকি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও আপনার ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
অনেকক্ষণ থাকবে এমন লিপবাম: সারাদিন হাইড্রেশন এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য ঠোঁটে অনেকক্ষণ থাকবে এমন লিপবাম লিপ বাম বেছে নিন। এই ধরনের লিপ বাম ব্যবহার করলে, বার বার ঠোঁটে লিপ বাম লাগানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এটা ঠোঁটে আর্দ্রতা বজায় রাখে। যাঁরা খুব ব্যস্ত থাকেন সারাদিন তাঁদের জন্য এই লিপ বাম একেবারে উপযুক্ত।
প্যারাবেন মুক্ত: ত্বকের জ্বালা, অ্যালার্জি এবং হরমোনের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন রাসায়নিক যাতে লিপ বামে না থাকে তা দেখা উচিত। লিপ বামে যাতে প্যারাবেন না থাকে তা দেখে নেওয়া উচিত। এতে ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এই ধরনের লিপ বামের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে এমন লিপবাম বেছে নেওয়া উচিত।
রঙিন লিপ বাম: যদি ঠোঁটে হালকা রঙ যোগ করতে চান, তাহলে টিন্টেড লিপ বাম বেছে নিতে পারেন। টিন্টেড লিপ বাম রঙের আভা দেয়, পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজও করে। আবার লিপস্টিক বা গ্লসের মতো ভারীও হয় না।