৩০শে এপ্রিল তিনি গিয়েছিলেন জগন্নাথ দর্শনে। দিঘায়। সস্ত্রীক। তবে কেবলমাত্র জগন্নাথ দর্শনই নয়। তিনি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও দেখা করেন। হেসে হেসে কথাও হয়। তারপরই জোর শোরগোল বাংলার রাজনীতিতে। তবে কি তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন দিলীপ? নানা প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে। এমনকী একেবারে সরাসরি গো ব্যাকও শুনতে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে, কটূ স্লোগানও শুনতে হয়েছে দলের অন্দরমহল থেকেই।
দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে দল একেবারে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে এতদিন সোশ্য়াল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছবি দিয়ে অনেকেই ওপরমহলে তাঁদের কতটা প্রভাব রয়েছে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করতেন । তবে এবার একেবারে অন্য় ছবি। দেখা যাচ্ছে বহু বিজেপি নেতা আচমকা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁদের ছবি সম্বলিত যে ডিপি ছিল সেটা সরাতে শুরু করেছেন। কার্যত দিলীপ ঘোষের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব তৈরির জন্য তাদের এই উদ্যোগ।
এসবের মধ্য়েই এক্স হ্যান্ডেলে একটা পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেখানে লেখা হয়েছে,' আজ সেই অভিশপ্ত ২রা মে। আজকের দিনে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছিল তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।তাতে প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের ২৫০জন কার্যকর্তা। সকল কার্যকর্তার শান্তি কামনা করি।'
পোস্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ।
তবে তার জবাবে কী বলছেন নেটিজেনরা?
একজন লিখেছেন, দাদা অনুরোধ রইল প্লিজ উলটো পালটা কিছু করবেন না। আপনি তৃণমূলে চলে গেলে সেটা বিজেপির জন্য চরম ধাক্কার হবে। অপর একজন লিখেছেন লজ্জা করল না। আপনার দুদিন আগে যার হাত ধরে এই রক্তগঙ্গা তৈরি হল তার সাথে বলে তামাশা করতে?
কেউ অনুরোধ করছেন। কারোর আবার দিলীপ ঘোষের উপর চরম অভিমান। আসলে জগন্নাথ ধামে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলা দিলীপের, এই ছবি দেখে চমকে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাহলে কি আগে থেকেই তলায় তলায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন দিলীপ ঘোষ?
তবে দিলীপ ঘোষ বারবারই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন বিজেপির প্রতি তাঁর কতটা ভালোবাসা রয়েছে। তিনি বলেছেন, 'হঠাৎ বিজেপি যারা, যারা ২০২১ সালের পরে বিজেপি হয়েছেন তাঁরা সকালে বিজেপির বাড়িতে নাস্তা করেন, দুপুরে তৃণমূলের বাড়িতে খান। আবার রাতে বিজেপির বাড়িতে এসে নৈশাহার করেন। কারও টিকিট চলে যেতে হু হু করে চলে গিয়েছিলেন বিজেপি ছেড়ে। আবার হাওয়া ঘুরতে হুড় হুড় করে চলে আসছেন। তারা যেন দিলীপ ঘোষের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট না দেয়।’