শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে ধাক্কা খেলো তৃণমূল এবং বিজেপি। কোনও আসনেই জয়ী হতে পারল না ঘাসফুল এবং গেরুয়া শিবির। বারের সবকটি আসন দখল করে নিয়েছে কংগ্রেস এবং বামপন্থী জোটের আইনজীবীরা। এই বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হয়েছিল বুধবার। নির্বাচনে জয়ের পর জয়ী আইনজীবীরা রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সংগঠনের হয়ে কাজ করার বার্তা দেন। (আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার আবহে সীমার 'কাশ্মীর যোগ' নিয়ে বিস্ফোরক তাঁর স্বামীর আইনজীব)
আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়া আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জয়ী রাম-বাম জোট
বুধবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে শিলিগুড়ির বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। এবার নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার করেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা ববারের সদস্য গৌতম দেব। বারের সদস্য হওয়ায় এদিন তিনিও ভোট দিয়েছেন। সব দলের পক্ষ থেকে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বতা করেন। ১৫০১ সদস্যদের মধ্যে ১৪৯৬ জন সদস্য ভোট দেন। বুধবার এই নির্বাচনকে ঘিরে শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল।নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনওরকমের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য সকাল থেকেই শিলিগুড়ি থানার প্রচুর পুলিশ বাহিনী আদালত চত্বরে মোতায়ন ছিল। তবে কোনওরকমের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয় শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। বারের নির্বাচনকে ঘিরে এদিন আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। ১৬ টি পদের মধ্যে রয়েছে ৯টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ। বাকিগুলি অফিস বিয়ারার পদ।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে চলে যাওয়া পাকিস্তানিদের জন্যে মন কাঁদছে শাসকদলের নেতার, বললেন…
শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মেয়র গৌতম দেব এদিন ব্যালটে ভোটদান করেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্যানেলের পক্ষে প্রচারও করেন। এদিকে, বিজেপি নেতা নান্টু পাল শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রত্যেক দলই জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করে। গৌতমবাবু এদিন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বারের সদস্য। বারের নির্বাচনে প্রত্যেকবারই ভোট দিতে যান। এবারও ভোট দিয়েছেন। তিনি জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে, নান্টুবাবু জানান, তিনি দীর্ঘদিন পর আদালতের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। তবে ভোট গণনার পর দেখা যায়, বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত কোনও আইনজীবীই জয়ী হতে পারেননি। সবকটি আসনই দখল করে নেন বাম এবং কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা।