নগরায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চারিদিকে বাড়ছে কংক্রিটের জঙ্গল। জলাভূমি বুঝিয়ে বা গাছপালা কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল। তার ফলে কমছে সবুজ। চারিদিকে বাড়ছে দূষণ। এমন অবস্থায় গাছ নিধন সংক্রান্ত একটি মামলায় কঠোর অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘গাছ কাটা খুনের চেয়েও বড় অপরাধ।’ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ‘বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা শুধু পরিবেশের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্যও গুরুতর হুমকি। একইসঙ্গে, গাছ কাটার অপরাধে প্রতি গাছ কিছু অভিযুক্তকে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: 'নারীর স্তন খামচে ধরা ধর্ষণের চেষ্টা নয়' বলেছিল এলাহাবাদ HC, তীব্র ভর্ৎসনা SC-র
আগ্রার তাজমহলের আশেপাশের সংরক্ষিত এলাকা তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন। প্রায় সাড়ে ১০ হাজার স্কোয়্যার কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই অঞ্চল। সেখান থেকেই ৪৫৪টি গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অভয় এস ওখা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, গাছ কাটার ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়।
আদালত বলেছে, ‘অনুমতি ছাড়া যে ৪৫৪টি গাছ কাটা হয়েছে, তার ফলে সবুজ আবরণ পুনরুজ্জীবিত হতে কমপক্ষে ১০০ বছর সময় লাগবে। এই ক্ষতি কেবল একজন ব্যক্তির বা এলাকার নয়, বরং সমগ্র প্রকৃতির।’ মামলায় কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। তাতে বলা হয়, যে মথুরা-বৃন্দাবনের ডালমিয়া ফার্মে শিবশংকর আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলেছেন। এটি একটি গুরুতর পরিবেশগত অপরাধ। এই কাজের জন্য কমিটি প্রতি গাছ পিছু ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করার সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশ মেনে এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।