ভারতের ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার আইপিএল ফাইনালের আগের দিন শনিবার হঠাৎ-ই বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন যে, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরে, এই বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলার সময়ে তাঁর পিঠে যে সমস্যা হয়েছিল, এবং তার জেরে তাঁকে যে ভুগতে হয়েছিল, সে কথা কেউ বিশ্বাস করেননি। উল্টে তাঁকে দোষারোপ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের থেকে পুরো আলাদা- পিচ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন নাইট অধিনায়ক
ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শ্রেয়স
শ্রেয়স দাবি করেছেন যে, ‘বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ ফর্ম্যাটে খেলতে গিয়ে আমার অবশ্যই সমস্যা হচ্ছিল। আমি সেটা নিয়ে লড়াই করছিলাম। যখন আমি আমার উদ্বেগের কথা জানালাম, তখন কেউ এতে বিশ্বাস করেননি। মানতে চাননি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘কিন্তু সেঅ সময়ে আমার লড়াই ছিল নিজের সঙ্গে। যখন আইপিএল ঘনিয়ে আসছিল, তখন আমি চেয়েছিলাম, নিজের সেরাটা দিতে। এবং আমরা যাবতীয় পরিকল্পনা ছিল সেই নিয়েই। জানতাম, নিজেদের ভাবনাকে কার্যকরী করতে পারলে, আমরা সেরা স্থানে থাকব। এবং দেখুন, আমরা এখন সেখানে আছি।’
আরও পড়ুন: ফের পাক শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে, বাবরের ডেপুটি হতে পত্রপাঠ না করে দিলেন আফ্রিদি
পিঠের চোট নিয়ে টানাপোড়েন
অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও পিঠের সমস্যা নিয়ে ভুগেছিলেন শ্রেয়স। গত বছর এশিয়া কাপের আগে পিঠের চোট সারিয়ে দলে ফিরেছিলেন তিনি। ওডিআই বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। তার পরে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে, তাঁকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে প্রথম দু'টি টেস্টের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। বাকি তিনটি টেস্টে অবশ্য তিনি বাদ পড়েন। দ্বিতীয় টেস্টের মাঝেই পিঠে খিঁচুনি অনুভব করায় তিনি আর খেলতে পারেননি। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে শ্রেয়স রঞ্জিও খেলেননি। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে চোটের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বোর্ডের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন যে, শ্রেয়সের কোনও চোট নেই।
এটাও অভিযোগ উঠেছিল যে, কেকেআরের প্রাক-মরশুম শিবিরে যোগ দিলেও, রঞ্জি খেলেননি শ্রেয়স। পরে তিনি রঞ্জিতে ফিরেছিলেন। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে খেলেছিলেন। যদিও বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া তাঁকে। তবে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের সময়ে পিঠের সমস্যার কারণে শ্রেয়স আইয়ার টানা দু'দিন মাঠে ছিলেন না।
আইপিএলের জন্য তাঁর প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, শ্রেয়স বলেছেন, ‘আমি মনে করি লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরলে প্রথম প্রথম তা ব্যাটসম্যান এবং বোলারদের জন্য কিছুটা কঠিন হয়। তাই শুরুতে একটু চাপ ছিল, কিন্তু একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, আমার মনে হয় অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গেও দিব্যি তাল মিলিয়ে চলা যায়।’