কলকাতায় আরও একটা অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুমিছিল। অগ্নিদানবের সঙ্গে অসম লড়াইয়ে ৮ ঘণ্টা পর জয় দমকলকর্মীদের। আর ততক্ষণে দমবন্ধ হয়ে কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়াপট্টিতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আর দমকলের দাবি, হোটেলে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের সময় তা কোনও কাজই করেনি। আর এতেই উঠছে দমকল দফতরের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা অডিট করার দায় কার? নিয়মিত মক ড্রিল কি হয়েছিল বড়বাজারের ওই হোটেলে?
মঙ্গলবার সন্ধ্যা আটটা নাগাদ মেছুয়া পট্টির ঋতুরাজ হোটেলের দোতলায় আগুন লাগে। সেই ধোঁয়া সিঁড়ি দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে হোটেলের ওপরের তলাগুলিতে। হোটেলের প্রতিটি তলেই রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মোটা লাল পাইপ। তা দেখে অনেকে মনে করেছিলেন সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে আগুন। কিন্তু দমকল এসে সেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ব্যবহার করতে গিয়ে দেখে সেটি অকেজো। দমকলের এক আধিকারিক জনান, হোটেলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা কাজ করেনি। ট্যাঙ্কে জল ছিল না।
প্রশ্ন উঠছে, সমস্ত বাণিজ্যিক বহুতলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। সেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করছে কি না তা নির্দিষ্ট সময় অন্ত অডিট করে দেখার কথা দমকল বিভাগের। সেই অডিট হয়েছিল কি? পার্কস্ট্রিটের স্টিফেন কোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর দেখা গিয়েছিল সেখানে অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছে বিদ্যুতের তার। বড়বাজারের একাধিক অগ্নিকাণ্ডে সিঁড়িতে জিনিসপত্র মজুত থাকায় আর্ত মানুষ ছাদে উঠে প্রাণ বাঁচাতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, এগুলি খতিয়ে দেখার দায় কার? কে দেখবে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর মক ড্রিল হচ্ছে কি না? কী জন্য ফায়ার লাইসেন্স দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেয় সরকার?