টাকা দিলেই মিলছে পানশালা ও মদের দোকান খোলার অনুমতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জমানায় এই অভিযোগ নতুন নয়। আর কলকাতার মেছুয়া ফলপট্টিতে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও উঠে এল একই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, সামনে তিনটি স্কুল থাকলেও মাস কয়েক আগে কোন জাদুবলে বার তৈরির অনুমতি পেয়ে গিয়েছিল অভিশপ্ত ঋতুরাজ হোটেল। সেই বার তৈরির কাজ চলার সময়ই ঘটল অগ্নিকাণ্ড।
বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির ঋতুরাজ হোটেল বহু পুরনো। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কলকাতায় ব্যবসায়িক কাজে আসা লোকজন সেখানে থাকেন। অনেকের নিয়মিত যাতায়াত থাকে ওই হোটেলে। সেখানেই মঙ্গলবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল ১৪ জনের।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ঋতুরাজ হোটেলের এক তলায় ছিল একটি রেস্তোরাঁ। আবাসিকরা ছাড়াও বাইরের লোকজনও সেখানে খাওয়াদাওয়া করতে পারতেন। কিন্তু মাস কয়েক আগে সেখানে পানশালা তৈরির অনুমতি পায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এর পর ভবনটির একতলার সমস্ত জানলা ইঁট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়। ভিতরে শুরু হয় পানশালা তৈরির কাজ। আর তার জন্য নির্মাণসামগ্রী রাখা হয় হোটেলের আপদকালীন বাহিরপথের সামনে।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, ওই হোটেলের কয়েকশ মিটারের মধ্যে রয়েছে ৩টি স্কুল। তার পরেও কী ভাবে পানশালা তৈরির অনুমতি পেল ওই হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, পুরোটাই টাকার খেলা। মোটা টাকার বিনিময়ে আইনের পরোয়া না করে দেওয়া হয়েছিল পানশালা তৈরির অনুমতি।
বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, টাকার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের পরিচালিত রাজ্য সরকার সব করতে পারে। তার ফলেই আজ ১৪টা প্রাণ চলে গেল। স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে নেতা - মন্ত্রী সবাই বেআইনিভাবে টাকা তুলতে ব্যস্ত। রাজ্যে পানশালার লাইসেন্স বিতরণেও বড় দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত হলে সব প্রকাশ্যে আসবে। তৃণমূলের পাপের ফলে ১৪টা প্রাণ চলে গেল।