সকালে একরকম কথা বলেছিলেন। বিতর্ক বাড়তে থাকায় রাতারাতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন। আসলে দলের অন্দরে প্রবল হইচই হতে শুরু করেছিল তাঁর মন্তব্য নিয়ে। সে খবর তাঁর কানে পৌঁছে ছিল। পরিস্থিতি তাঁর বিপরীতে যাচ্ছে দেখে হাওয়া মোরগের মতো নিজের অবস্থান বদল করলেন কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী। বিধানসভা নির্বাচনের পর সরকার গড়তে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। আর এই বিতর্কের ঝাঁঝ তীব্র হওয়ায় পিছু হটলেন মালদার কংগ্রেস নেতা। রাতারাতি বদলে গেল তাঁর অবস্থান। কংগ্রেস পার্টি অফিসে সিপিএম নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা বলেননি তিনি। কংগ্রেস–বামফ্রন্ট একসঙ্গে লড়ছে ও লড়বে।ঠিক কী বলেছিলেন এই কংগ্রেস নেতা? জোট পরিস্থিতি নিয়ে আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকির হাত ধরেনি। বামেদের খারাপ ফল হবে, এই ভয়ে ওরা আব্বাসের হাত ধরেছে। ধর্মের নামে যদি ৮–১০টা আসন পাওয়া যায়। আব্বাসের হাত ধরা আমরা পছন্দ করিনি। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ভোট পরবর্তী সময়ে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করব।’ বিতর্কিত মন্তব্য তীব্র আকার ধারণ করলে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে বলতে হয়, এটা ওনার ব্যক্তিগত মত। দলের নয়।মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ রাতারাতি বদলে ফেললেন নিজের পূর্বের বয়ান! তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট একসঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আরও জোরে আমরা কাজ করব। সোনিয়া গান্ধী ঠিক করেছেন আমরা একসঙ্গে চলব। তাই এখানে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির কোনও প্রশ্ন ওঠে না।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিছু কথা বলেছিলাম যা বলা উচিত হয়নি। আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে কোথাও সমর্থন করিনি।’ তাহলে এখানে প্রচারে আব্বাসকে ডাকছেন? সপাটে জবাব দেনন, ‘আমি এআইসিসির কথা বলতে পারি। আব্বাসের কথা নয়।’ সুতরাং সংযুক্ত জোটে থাকলেও কংগ্রেস–আইএসএফ চিড় রয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। উল্লেখ্য, ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফা এবং ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফায় মালদা জেলার ১২টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে।