এখনও একবছর বাকি বিধানসভা নির্বাচনের। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে। এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তার মধ্যেই নানা ইস্যু এখন সামনে এসে গিয়েছে। ফলে রাজ্য–রাজনীতি এখন সরগরম। একইসঙ্গে কাশ্মীরে পহেলগাঁও এলাকায় ভারতীয় পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। একজন বিদেশি নাগরিকও আছে। এই আবহ আরও তপ্ত হয়ে উঠল দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের মধ্যে। এই দু’জন হলেন—আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এবং ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ নানা সভা–সমাবেশ থেকে বলেছেন, ২০২৬ সালের যে বিধানসভা নির্বাচন তাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বহু আসনে হারাবে। কিন্তু সেটা কেমন করে তা খোলসা করেননি। তবে পাল্টা জবাব ধেয়ে এসেছে। নওশাদকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘যদি বাপের বেটা হয়ে থাকো তাহলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ের ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করো।’ নওশাদ সিদ্দিকীকে এই ভাষাতেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। আর তা নিয়েই এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ‘বিষয়টি আর শিক্ষামন্ত্রীর হাতে নেই’, শিক্ষকদের সমস্যার সমাধানে পথ দেখালেন দিলীপ
এখন ভাঙড় এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে। তার আগে যতগুলি নির্বাচন এখানে হয়েছে সবকটিতেই হিংসা দেখা গিয়েছিল। আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই প্রায় রোজই হতো এখানে। এখন অনেকটা কমেছে। কিন্তু পুরো নির্মূল হয়নি। যদিও শওকত মোল্লার বক্তব্য, ‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে এক লক্ষর বেশি ভোটে জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস।’ সরকারি স্ট্রিট লাইটের উদ্বোধনে এসে নির্বাচনের দামামা বাজালেন শওকত। তবে কাজের প্রতিশ্রুতিও শোনা যায় শওকতের কণ্ঠে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোটা ভাঙড়ে পথবাতির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বিধায়ক।
তারপরই গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ভাঙড় জুড়ে পথবাতির উদ্বোধন করতে দেখা যায় শওকত মোল্লাকে। ভাঙড়ের অন্তর্গত শোনপুর, কাশীপুর, কাঁঠালিয়া, পাকাপোল নানা জায়গায় পথবাতির উদ্বোধন করেন তিনি। এমনকী সাতুলিয়াতে সোলার আরএলআই সিস্টেমেরও উদ্বোধন করেন বিধায়ক। কৃষকদের সেচের জলের অসুবিধার যাতে না হয় তাই উন্নত প্রযুক্তিতে সেচের কাজের সূচনা করেন তিনি। সেখানেই শওকত মোল্লার কথায়, ‘শুধু ভাঙড় থেকেই এক লক্ষের বেশি ভোটের লিড পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ওকে যদি ল্যাজে গোবরে না করে দিতে পারি তাহলে আমি বাপের বেটা নই।’