পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে শুক্রবার আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। আর সেই চার্জশিটে SSC দুর্নীতির ছায়া। সিবিআইয়ের চার্জশিট বলছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নামে কার্যত প্রসহন হয়েছে। যোগ্যতামান অর্জন করতে না পারলেও একই দিনে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে দলে দলে কর্মীকে। আর এসব যখন হয়েছে তখন পুরপ্রধান ছিলেন তৃণমূলের পাচু রায়।
আরও পড়ুন - চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করল ৬২ বছরের TMC নেতা
পড়তে থাকুন - তৃণমূল জমানায় রাজ্যের ১৯টি পুরসভায় নিয়োগের অর্ধেকই ভুয়ো, চার্জশিট দিয়ে জানাল CBI
সিবিআইয়ের চার্জশিট অনুসারে ২০২০ সালে করোনার লকডাউন চলাকালীন সময়কে ব্যবহার করেছিলেন পাচু রায়। সেই সময় একই দিনে পুরসভায় ২৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল মজদুর পদে। এদের সবাই লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ নম্বর পেয়েছিলেন। মৌখিক পরীক্ষায় প্রত্যেকেই শূন্য পান। পিওনের ২টি পদেও ওই একই দিনে নিয়োগ হয়। ২ জনই লিখিত পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পান। মৌখিক পরীক্ষায় ২ জনই ফেল করেছিলেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।
চার্জশিটে আরও জানানো হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ণের দায়িত্ব ছিল অয়ন শীলের সংস্থার ওপর। সেজন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে প্রশ্নপত্র তৈরির চুক্তি ছিল ওই সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু একজনও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেননি অয়ন শীল। বদলে নিজে ও নিজের সংস্থার ২ কর্মীকে নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন তিনি।
আরও পড়ুন - পার্থদের জামিনের মামলায় বিরাট মোড়! মুখ্য়সচিবের অনুমোদন ছাড়াই করা যাবে শুনানি
সিবিআই জানিয়েছে, ভুয়ো নিয়োগের নির্দেশিকায় সই করেছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান পাচু রায়। যদিও দুর্নীতির দায় নিতে নারাজ তিনি। তাঁর দাবি ডিরেক্টরেট অফ সিভিক বডিজ় থেকে যেরকম নির্দেশ এসেছে সেই অনুসারে কাজ করেছেন তিনি। অর্থাৎ ঘুরিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে দায় ঠেলেছেন তিনি।