এবার ‘বৈঠকি আড্ডায় মাছ চাষ’ কর্মসূচি শুরু করল হলদিয়া ব্লক মৎস্য বিভাগ। আগে এই ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছ চাষের উপর জোর দিতেই এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর তাই গ্রামে গ্রামে মাছের খামারে গিয়ে মাছ চাষীদের নিয়ে বৈঠকি আড্ডা শুরু করা হল। কেমনভাবে হচ্ছে এই বৈঠক? মাছের ভেড়িতেই মাছ চাষী, মৎস্য আধিকারিক একসঙ্গে গোল করে বসে হচ্ছে আড্ডা। সকলের জড়তা কাটিয়ে মাছ উৎপাদনে উৎসাহ এবং সহায়তা করা হচ্ছে।কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, এই করোনাভাইরাস অতিমারির সময় পেরিয়ে মাছ চাষীরা কেমন আছেন তা জানতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো খবর নেওয়া হচ্ছে এবং আলোচনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মৎস্য দফতরের সরকারি প্রকল্পের সম্পর্কে অবগত করানো হচ্ছে হলদিয়ার দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের রাজ্য সেরা ‘মীন-মিত্র’ পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্যচাষী নারায়ণ বর্মণের মৎস্য খামারে হয়ে গেল বৈঠকি আড্ডা। উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কিছু মাছ চাষী। আড্ডা পরিচালনা করেন হলদিয়া ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। ঠিক কী বলেছেন সুমনবাবু? এই বিষয়ে হলদিয়ার মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, ‘বৈঠকি আড্ডা হল গল্পের ছলে মাছ চাষের কঠিন বিষয়গুলি আলোচনা করা। বহু মৎস্য চাষী নানা সমস্যায় রয়েছেন। এই আড্ডার মাধ্যমে তাঁদের সাহায্যও করা হচ্ছে। সরকারি প্রকল্প দুয়ারে পৌঁছে দেওযা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাছ চাষীদের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে।এই মাছ চাষীদের নিয়ে বৈঠকি আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, খড়গপুর (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর)–এর প্রাক্তন অধ্যাপক গবেষক ডক্টর অরুণাভ মিত্র। তিনি বলেন, ‘জীবন–জীবিকায় মানুষের জন্য মাছ চাষের বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রকৃতি নির্ভর বিজ্ঞানভিত্তিক সহজ মাছ চাষের খুব দরকার। এমনকী মাছ চাষীদের মন ও শরীর ঠিক রেখে জ্ঞানশক্তি, ইচ্ছেশক্তি এবং কর্মশক্তি প্রয়োগ করা উচিত।’