বিধানসভায় দোস্তি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু উপনির্বাচন এবং কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল কুস্তি। আর রবিবাসরীয় নির্বাচনী প্রচারে শিলিগুড়ির চার ওয়ার্ডে কংগ্রেসের পাশে দেখা গেল বামেদের। গতবার শিলিগুড়ি পুরসভায় কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন ছেড়ে দিয়ে এবার ৪৭টি আসনের বাকি সমস্ত আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট। আর নিজেদের জেতা চারটি আসন–সহ মোট ৩১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। তাই এখানের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট–কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের জেতা চারটি ওয়ার্ডে বাম–কংগ্রেস জোট করেই লড়ছে। রবিবার সেই ছবি দেখা গেল শিলিগুড়ির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে নামলেন সিপিআইএমের অশোক ভট্টাচার্য–সহ বাম নেতারা।ঠিক কী দেখা গেল? এদিন ছুটির মেজাজে শিলিগুড়ির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রচার করতে দেখা গেল সিপিআইএম–কংগ্রেসকে। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে বন্দেমাতরম, জাতীয় কংগ্রেস জিন্দাবাদ। সেই মিছিলে লাল পতাকা নিয়ে হাঁটলেন বামফ্রন্টের নেতারাও। গল্প করতে দেখা গেল বাম নেতাদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের। তাহলে কী ওই চার ওয়ার্ডে জোট হয়েছে? এই বিষয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনের আগে জোট করা যায়নি। দু’দলই প্রার্থী দিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু চারটি ওয়ার্ডে আমরা একসঙ্গেই লড়াই করছি। কংগ্রেসকে আমরা আসনগুলি ছেড়ে দিয়েছি। তাই এই চার ওয়ার্ডে আমরা কংগ্রেসের পাশে আছি। বোর্ড গঠন করার সময় কংগ্রেসের জেতা কাউন্সিলররা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। যেখানে বামেদের প্রার্থী রয়েছে, সেখানে কর্মীরা বাম প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। এটাই আমরা আবেদন করছি।’আর এখানের কংগ্রেসের প্রার্থী সুজয় ঘটক বলেন, ‘গতবার আমরা পৃথকভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। জিতে এসে বামেদের পাশে ছিলাম। এবারেও বহু ওয়ার্ডে পৃথক লড়াই হচ্ছে। কিন্তু এই চার ওয়ার্ডে একসঙ্গে লড়ছি। বোর্ড গঠনে বামেদের পাশে থাকব।’ সেক্ষেত্রে বাম–কংগ্রেস বার্তা দিতে চাইল, ঠিক জোট না হলেও সমঝোতা হয়েছে।