মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকার একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থলকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে, যাতে অন্তত ২৬ জন নিহত হন এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার প🐭র ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী তাঁর অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে ভারতের ক্রিকেটীয় নীতির প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বি𝕴শেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা নিয়ে।
চলতি বছরের শুরুতেই বিসিসিআই জানিয়ে দেয় যে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাবে না এবং ভারতের সব ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করা হবে। কিন্𝔉তু গোস্বামী আরও কড়া অবস্থান নিয়ে বলেন, ভারতের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা।
আরও পড়ুন … অভিষেক ন𒈔ায়ারকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানতেন না রোহিত শর্মা! সামনে এল বড় 🍸আপডেট
তিনি লেখেন, ‘এ কারণেই আমি বলি—পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা যায় না। না এখন। না কখনও।’ তিনি আরও লেখেন, ‘যখন বিসিসিআই বা সরকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকার করল, তখন কেউ কেউ বলেছিল, ‘খেলাধুলা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। সত্যি? আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করাই যদি ও💎দের জাতীয় খেলা হয়, তবে আমাদেরও উচিত ওদের বোঝানোর ভাষা বদলানো। ব্যাট-বলের নয়, বরং 💦অটল সংকল্প, সম্মান ও শূন্য সহনশীলতার মাধ্যমে।’
শ্রীবৎস গোস্বামী আরও জানান, তিনি কয়েক মাস ꦉআগে লেজেন্ডস লিগের জন্য কাশ্মীরে গিয়💜েছিলেন এবং পহেলগাঁওয়ের ঘুরেছিলেন।
আরও পড়ুন … সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিবাদ I🦄PL 2025- এ! SRH vs MI ম্যাচে দেখা যাবে না আতশবাজি, চিয়ারল🌞িডার
তিনি লেখেন, ‘আমি ক্ষুব্ধ। আমি বিধ্💛বস্ত। কয়েক মাস আগেই কাশ্মীরে গিয়েছিলাম—পহেলগাঁওয়ে হাঁটছিলাম, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, ওদের চোখে শান্তির আশা দেখেছিলাম। মনে হচ্ছিল শান্তি যেন ফিরে এসেছে। আর এখন এই রক্তপাত! এটা আপনার ভিতর কিছু ভেঙে দেয়। বারবার চুপ থাকব? বারবার ‘স্পোর্টিং’ থাকা༺র নাম করে সহ্য করব? আর নয়। এইবার নয়।’
আরও পড়ুন … প্রথমে কালবৈশাখী পরে খারাপ আলো, ১০৫ মিনিট খেলার পর🅷ে পরিত্যক্ত ফাইনাল ম্যাচ! বাংলাদেশ ফুটবলে অবা🧸ক করা ঘটনা
ঘটনার বিবরণ:
এই হামলার এক ভুক্তভোগীর কন্যা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা পুরুষ পর্⭕যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, ধর্ম জানার পর বেছে নিয়ে হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘সেখানে অনেক পর্যটক ছিলেন, কিন্তু সন্ত্রাসীরা পুরুষদেরকে আলাদা করে জিজ্ঞেস করছিল, তারা হিন্দু না মুসলিম। এরপরই আমার বাবা আর কাকাকে গুলি করে হত্যা করে।’
এই পরিবারটি ছুটিতে পহেলগাঁওয়ে গিয়েছিল, তখনই পাহাড় থেকে নামা কিছু ব্যক্তি যাঁরা স্থানীয় পুলিশের মতো পোশাক পরা ছিল, তারা গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদউল্লাহ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এই হামলা সাম্প্রতিক বছরগু🅺লিতে নাগরিকদের ওপর চালানো সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা।’