আপাতত সামাজিক মাধ্যমের আলোচনার বিষয় হয় কাঞ্চন মল্লিক বা পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায়ের ৩ নম্বর বিয়ে, অথবা অনন্ত-রাধিকার প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠান। তবে এই অনুষ্ঠানগুলি নিয়ে আলোচনার থেকে ট্রোল হচ্ছে বেশি। আর যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরমব্রতকে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিদিন চলতে থাকা নানা রকমের ট্রোল নিয়ে বলতে শোনা গেল, ‘সমাজমাধ্যম জায়গাটা নোংরামোর চাষ’। কদিন আগেই রাজস্থানের সোনার কেল্লা বা জয়সলমের ফোর্ট থেকে শ্যুট করে ফিরেছেন পরমব্রত। আপাতত কাজ চলছে কলকাতাতে। এই ছবিতে বেশ টুইস্ট থাকছে। উপন্যাসের চরিত্র মুকুল ও তিন গোয়েন্দা বিমল, রুবি ও কুমারকে নিয়ে থ্রিলার আনছেন সায়ন্তন ঘোষাল। চরিত্রগুলি উপন্যাসের হলেও, ছবির গল্প মৌলিক।
আরও পড়ুন: এটা তৈমুর নয়! তবে এর বাবারও ২টো বিয়ে, এখন বয়স ২৩, পা রাখছে বলিউডে, বলুন তো কে?
তবে প্রশ্ন, যেখানে উপন্যাসের গল্প নিয়ে সিনেমা বানালেই ট্রোল হয়, তখন একাধিক চরিত্র একসঙ্গে করে তৈরি সিনেমা নিয়ে কি সমালোচনা হবে না সোশ্যাল মিডিয়ায়? যাতে পরমব্রত জানালেন, ‘আমার এখন মনে হয়, সমাজমাধ্যম জায়গাটা নোংরামোর চাষ। এটা বর্তমানে কর্মহীনতার দরবার। কারোর কাজ নিয়ে বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বা রাজনৈতিক জীবন নিয়ে, কিছু একটা পেলেই হল। সেটাই যেন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এত সময় মানুষের আছে!’
আরও পড়ুন: ছাদনাতলায় সলমন খানের ‘শালা’! সমুদ্রের ধারে চার হাত এক হবে, বিয়ের কার্ড ফাঁস
পরমব্রত সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে তুলনা টানলেন খাপ পঞ্চায়েতের। বললেন, ‘আগে যেমন গ্রামের গাছতলায় মোড়লরা বসে বিচারসভা বসাতো, এখন সোশ্যাল মিডিয়া সেরকমই হয়ে গেছে। আমার খাপ পঞ্চায়েতে থাকারও কোনও শখ নেই, বা খাপ পঞ্চায়েতে কী হচ্ছে তা জানারও ইচ্ছে নেই। সামাজিক মাধ্যম শুধু মানসিক উদ্বেগ বাড়ায়।’
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন পরমব্রত আর পিয়া চক্রবর্তী। আর তা নিয়ে ট্রোল করার সুযোগ ছাড়েনি নেটপাড়া। এমনকী গায়ক অনুপম রায়ের প্রাক্তনকে বিয়ে করায়, ‘বউ চোর’ তকমাও সেঁটে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: স্বামীর বাড়িতে ঢুকেই ফোলা চোখ শ্রীময়ীর, কেন এত কাঁদলেন কাঞ্চনের তৃতীয় বউ
এরপর আবার মার্চ মাসে অনুপম রায় বিয়ে করলে, ফের চর্চায় উঠে আসেন পরমব্রত। চলতে থাকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাঁটাছেড়া।