শহরের বুকে ফের অগ্নিকাণ্ড। অক্ষয় তৃতীয়ার আগের রাতে কলকাতার বড়বাজারে মেছুয়া বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ছুঁল ১৪। জানা গিয়েছে, আহতের সংখ্যাও একাধিক। প্রশাসন জানিয়েছে, রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে তথ্য বলছে, হোটেলের ভিতরে বোর্ডাররা সকলেই মৃত। ১৩ জন বোর্ডারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, সন্ধ্যার সময়ই জানা গিয়েছিল ১ জন হোটেল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এপর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
জানা যাচ্ছে, ওই হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ আগুন লাগে। বড়বাজারের মেছুয়া বাজার এলাকার ফলপট্টির ওই হেটেলের অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে যায় দমকলের ১১ টি ইঞ্জিন। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আসে আগুন নিয়ন্ত্রণে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তৎপরতা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলের ভিতরে ধোঁয়া ছড়াতে থাকে। তখনই দমবন্ধ হতে শুরু করেন অনেকে। কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হতে থাকে হোটেল। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এসে কাঁচ ভেঙে উদ্ধার করতে থাকেন। জানা গিয়েছে, রাত ৩ টের পর হোটেলের ভিতরে থাকা সকলকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। তিনি বলেন,'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সন্ধ্যায় প্রায় ৮ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ঘটেছে। ১৪ টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। টিম অনেককে উদ্ধার করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে। বাকি তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে স্পেশ্যাল টিম।' জানা যাচ্ছে, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে। তবে শহরের বুকে এই অগ্নিকাণ্ড বেশ কিছু প্রশ্ন তুলছে নিরাপত্তা নিয়ে। হোটেলের অগ্নিনির্বাপন পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
( অক্ষয় তৃতীয়ায় জোড়া রাজযোগ! গজকেশরী, মালব্য যোগে সাফল্যের জোয়ার আসছে, লাকি মীন সর কারা?)
( দৈত্যগুরু শুক্রের রাশিতে হতে চলেছে কেন্দ্র ত্রিকোণ যোগ! টাকা কড়ির ফোয়ারা কোন ৩ রাশির ভাগ্যে?)
জানা যাচ্ছে, অগুনের আতঙ্কে অনেকেই হোটেলের বহুতল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই আহত হয়েছেন অনেকে। অনেককে হোটেলের সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তাঁরা ছাদে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে চাইছিলেন। অত্যন্ত মর্মান্তিক এমনই নানান ঘটনার তথ্য উঠে আসছে মেছুয়াবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে।