দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি করাই ভুল হয়েছিল। দিঘায় জগন্নাথ ধাম পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপের বৈঠকের পর এই ভাষাতেই তাঁকে আক্রমণ করলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। এমনকী নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দিলীপবাবু মিথ্যাচার করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।সোশ্যাল সাইটে তথাগত রায় লিখেছেন, ‘পি এইচ-ডি হবার দরকার নেই, কিন্তু ন্যূনতম শিক্ষাদীক্ষাটুকু প্রয়োজন। তা ছিল না বলেই দিলীপ ঘোষ কে রাজ্য সভাপতির মত উচ্চপদে বসানো মারাত্মক ভুল হয়েছিল। মাথা ঘুরে গিয়েছিল, ধরাকে সরা ভাবতে শুরু করেছিল। এদিকে হীনমন্যতাও ছিল, তাই নির্বাচনী এফিডেভিটে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে মিথ্যাকথা লিখেছিল, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।’তিনি আরও লি্খেছেন, ‘২০১৯ সালে সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য দেখে সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল, ভুলে গেল সেই বছরই তিনটে উপনির্বাচনে বিজেপি শূন্য পেল। এই সময় কামিনীকাঞ্চন-আসক্ত এক শিম্পাঞ্জির মত দেখতে বিজেপি নেতার কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ায় দিলীপের সুবিধা হল। The Week পত্রিকায় নিজেকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিল, দপ্তর বন্টনও করে দিল। তারপর হেরে যাবার পরে যখন বিজেপি কর্মীরা বেধড়ক মার খেতে লাগল তখন নিজে দশ জন রক্ষীবেষ্টিত হয়ে তাদের জ্ঞান দিত।'দলীয় নেতৃত্বকে প্রবীণ এই নেতার সতর্কবার্তা, ‘বিদায় হয়েছে, ভাল হয়েছে। আমি বৃদ্ধ, অবসরভোগী, দিলীপ বাবাজীবনের সুখী সমৃদ্ধ বিবাহিত জীবন কামনা করি। টাকার তো অভাব নেই! কেবল আমরা যেন একই ভুল আর না করি।'বলে রাখি, তথাগত রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সংঘাত নতুন নয়। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন তথাগতবাবু। তাঁকে ত্রিপুরার রাজ্যপাল করে কেন্দ্র। এর পর ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তরপূর্বের একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিপুল সাফল্য পায় বিজেপি। ফের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা নিয়ে রাজ্যপালের পদে ইস্তফা দিয়ে কলকাতা ফিরে আসেন তথাগতবাবু। তখন দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও তথাগতবাবুকে আর দলের সক্রিয় বৃত্তে ফেরত নেননি দিলীপ ঘোষ। এর পরই ২ নেতার মধ্যে বিতণ্ডা চরমে ওঠে।এদিন তথাগত রায়ের পোস্ট নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, যাদের কোনও গতি নেই তারা আবার কী প্রশ্ন করবে?