ঘন জঙ্গল। সেখানে রয়েছে নানা ধরণের জীবজন্তু। আর সেখান থেকে লোকালয়ের দূরত্ব খুব বেশি নয়। কিন্তু এই জীবজন্তু যাতে লোকালয়ে আসতে না পারে তার জন্য ওই জঙ্গলের ভিতরে রয়েছে বন দফতরের ওয়াচ টাওয়ার এবং ফরেস্ট চেকপোস্ট। সবকিছু সেখান থেকে নজর রাখা হয়। এই দুই জায়গায় থাকা বনকর্মীরা নিজেরাই রান্না করেন এবং ওখানেই খাওয়াদাওয়া করেন। আর শিফটিং ডিউটি করে দু’তিনজন বনকর্মী ওখানেই থাকেন। এবার তাঁদের হেঁসেলে হানা দিল গজরাজ। বুধবার তাঁদের খাবারে ভাগ বসায় গজরাজ। এই কাণ্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছে তাঁদের।
বনকর্মীরা প্রেসার কুকারে ডাল বসিয়েছিলেন। সেটা হয়ে গেলে খাওয়াদাওয়া করবেন। কিছুক্ষণ পর প্রেসার কুকারে সিটি দিতে থাকে। আর তার জেরে ছড়িয়ে পড়ে সেদ্ধ ডালের গন্ধ। আর সেই গন্ধ পেয়ে যায় ওই গজরাজ। তারপর বুনো হাতি গন্ধ শুঁকে পৌঁছে যায় সেখানে। ফরেস্ট চেকপোস্টে থাকা হেঁসেলে উঁকি দেয়। তখন সেখানে কেউ ছিলেন না। সুযোগ বুঝে পেটের জ্বালা মেটায় এবং প্রেসার কুকার হেঁসেলের জানালার ভিতরে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় জঙ্গলে। তখন তা নজরে আসতেই প্রবল চিৎকার শুরু করেন বনকর্মীরা। কিন্তু তাতে প্রেসার কুকারটি শুঁড়ছাড়া করেনি ওই বুনো হাতি। আসলে তারও প্রচণ্ড খিদে পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির কিছু নেতার জ্বলে গেল, পুড়ে গেল’, দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন কুণাল
এরপর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই প্রেসার কুকার খুলে ফেলে গজরাজ। আর সাবড়ে দেয় সেদ্ধ ডাল। বনকর্মীদের মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সেবক পাহাড় সংলগ্ন মহানন্দা অভয়ারণ্যের দশ মাইল রেঞ্জের গভীর জঙ্গলে থাকা ফরেস্ট চেকপোস্টে বুধবার এমন ঘটনাই ঘটেছে। এই ঘটনার পর দশ মাইল রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আগেও এই ক্যাম্পে হাতির হানার ঘটনা ঘটেছে। এবারে তো প্রেসার কুকার তুলে নিয়েই চলে গেল। এমনকী ওই প্রেসার কুকারের কোনও খোঁজও মেলেনি।’