২৫ অক্টোবর সকালেই নবমী তিথি সমাপ্ত হয়ে দশমী তিথি শুরু হচ্ছে, শেষ হচ্ছে ২৬ অক্টোবর সকালে। ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা অনুযায়ী, অর্ধমের ওপর ধর্মের, অসত্যের উপর সত্যের জয়ের তিথিই বিজয়া দশমী হিসেবে পালিত হয়। দশমী তিথিতেই মহিষাসুর বধ করেছিলেন দুর্গা। আবার এদিনই রাবণ বধ করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই দশেরাও পালিত হয় দশমী তিথিতেই। সে ক্ষেত্রে এ বছর ২৫ অক্টোবর দশহরা পালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর আশ্বিন শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দশহরা পালিত হয়।

বিজয়া দশমী সর্বসিদ্ধিদায়ক তিথি, তাই এই দিনকে সমস্ত মঙ্গল কাজের জন্য শুভ মনে করা হয়। এদিন দোকান বা বাড়ির নিমার্ণ, গৃহ প্রবেশ, অন্নপ্রাসন, নামকরণ, কর্ণ ছেদন, যজ্ঞোপবীত সংস্কার, ভূমি পুজো ইত্যাদি মঙ্গলকার্য করা যেতে পারে। তবে বিজয়াদশমীর দিন বিবাহসংস্কার করা উচিত নয়। মনে করা হয়, এদিন যে কাজ শুরু করা হয়, তা অবশ্যই সফল হয়। প্রাচীনকালে এদিনই রাজারা বিজয়কামনা করে রণযাত্রায় প্রস্থান করতেন। দশহরা ও বিজয়াদশমীর দিন এই কয়েকটি কাজ করলে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়--

- পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, দশহরা ও বিজয়াদশমীর দিন শমী গাজের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ী। মহাভারত কালে শমী গাছেই অস্ত্র লুকিয়ে ছিলেন পাণ্ডবরা। এর পরই কৌরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেন তাঁরা। বিজয়াদশমীর দিন বাড়ির পূর্ব দিকে শমী গাছের চারা প্রতিষ্ঠিত করে রীতি মেনে পুজো করা উচিত। এর ফলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধির বাস হয়। মহিলারা অখণ্ড সৌভাগ্য লাভ করেন। এই গাছের পুজো করলে শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

- দশহরার দিন রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদ দহনের পর পান খেয়ে সত্যের জয়ের আনন্দ ব্যক্ত করা হয়। এদিন বজরংবলীকে বোঁদের ভোগ দেওয়ার পর পান অর্পণ করলে, তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

- লঙ্কাপতি রাবণকে পরাজিত করার কামনা করে রামচন্দ্র প্রথমে নীলকণ্ঠ পাখির দর্শন করেছিলেন। নীলকণ্ঠ পাখিকে মর্ত্যে শিবের প্রতিনিধি মনে করা হয়। দশহরা ও বিজয়াদশমীর দিন নীলকণ্ঠ পাখির দর্শন ও শিবের কাছ থেকে শুভফলের কামনা করলে জীবনে ভাগ্যোদয় হয় ও ধন-ধান্য, সুখ-সমৃদ্ধিতে বৃদ্ধি হয়।