অগাধ আস্থা রেখেই দ্বিতীয়বার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মসনদে বসিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। তার তিন মাসও পূরণ হয়নি। এরমধ্যেই ট্রাম্প নীতির বিরুদ্ধে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে নামলেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং শিকাগো-সহ প্রধান শহরগুলিতে ছিল সর্বত্র একই দৃশ্য। মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজা ও ইউক্রেন নীতির বিরোধিতায় বিক্ষোভে দেখিয়েছেন মার্কিন নাগরিকরা। এমনকি হোয়াইট হাউসের সামনেও স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জনিয়েছেন তারা। (আরও পড়ুন: আমেরিকায় জোট বাঁধল ভারত-চিন পড়ুয়ারা! মা𝔉মলা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে)
আরও পড়ুন-খাবার প্লেট ১০০০ টাকা, সরকারকে পার্ট❀ির ১.২ লাখ টꦇাকা বিল মেটাতে বলল আমলা- রিপোর্ট
'৫০৫০১' নামে পরিচিত এই বিক্ষোভের অর্থ হল '৫০ রাজ্যে ৫০ বিক্ষোভ, এক আন্দোলন'।আয়োজকরা মার্কিন রিভল্যুশনারি ওয়ার বা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর ২৫০ তম বার্ষিকীর সঙ্গে মিলিয়ে এই প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই দিনেরꦜ কর্মসূচির নাম ‘ন্যাশনাল ডে অব অ্যাকশন’। এই কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্🍸রজুড়ে প্রায় ৭০০টি বিক্ষোভের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আয়োজকেরা। তবে ৫ এপ্রিলের তুলনায় এই বিক্ষোভে জনসমাগম কম হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিবাসীদের সমর্থনে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের তহবিল কমিয়ে বা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে আছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিও সংহতি জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের কাছে লাফায়েট স্কয়ারে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ট্রাম্প ও তার প্রশাসন অভিবাসীদের বের করে দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের বাঁচাতে আমরাও নেটওয়ার্ক এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’কোন কোন বিক্ষোভকারীকে প্যালেস্টাইনের পতাকা গলায় জড়াতে দেখা গেছে। তারা প্যালেস্টাইনীদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অনেকে ‘ফ্রি প্ﷺযালেস্টাইন বা প্যালেস্টাইন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইউক্রেনের পতাকা বহন করতে দেখা গেছে। তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আরও কঠোর হতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান।বিক্ষোভের সময় ওয়াশিংট𝔍ন মনুমেন্টের পাশে বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ঘৃণা কোন জাতিকে মহান করে না’, ‘সবার জন্য সমান অধিকার মানে আপনার অধিকার কমে যাওয়া নয়।'
আরও পড়ুন: বি🍒চারপতির বাড়ি থেকে পুড়ে যাওয়া 🌠টাকা কেন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? ব্যাখ্যা দিল পুলিশ
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রথম বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল ৫ এপ্রিল। এর মূল আয়োজক ছিল ‘ইনডিভিজিবল’ নামের নাগরিক অধিকার-বিষয়ক গোষ্ঠী। ওই বিক্ষোভের নাম ছিল ‘হ্যান্ডস অফ’, যার অর্থ, ‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও’।‘৫০৫০১’ আগামী ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পরবর্তী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এই🍒 দিনের কর্মসূচির নাম ‘মে ডে স্ট্রং বা মে দিবসের শক্তি’।