আবারও খবরের শিরোনামে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। এবার জাপানি শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে জেএনইউ-র এক অধ্যাপককে।ওই অধ্যাপকের নাম স্মরণ সিং। তিনি জেএনইউ-র স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক। এর আগেও অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। (আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা নিয়ে ভারতকে 'জ্ঞান'🥀 দিতে এসে সপাটে 'চড়' খেল বাংলাদেশ💞!)
আরও পড়ুন-বারাণসীর পুনরাবৃত্তি এবার রামপুরে!প্রতিবন্ধী দলিত ক🐽িশোরীকে ধর্ষণꦜ-নির্মম অত্যাচার
ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দিল্লির জাপানি দূতাবাস অভিযোগ দায়ের করেছিল। একজন বিদেশি মহিলা গবেষকের সঙ্গে অধ্যাপকের আ🦋চরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিটির কাছে অভিযোগ জানায় জাপানি দূতাবাস। এরপরেই ওই অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যেটি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং জবাবদিহিতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন। অভ্যন্তরীণ মহলে বিস্তারিত তদন্তের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া জাপান থেকে এসেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। গত কয়েক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে একজন অনুষদ সদস্যের হাতে তিনি শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন। এ✱রপরে তিনি জাপানে ফিরে গেলেও মনের শান্তি পাচ্ছিলেন না। অবশেষে জাপান থেকে ফিরে তিনি একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাসের নজরে আনা হয়। এরপর এটি বিদেশ মন্ত্রক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হয়। এরপর অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেন। এবং ওই অধ্যাপকের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল তাঁকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাঁকে এমন কঠে♕ার সাজা দেওয়ার সুপারিশ করে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক অতীতে এমন কঠোর সাজার নজির নেই। অধ্যাপক স্মরণ সিংয়ের এক বছর পর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল।এই প্রসঙ্গে জেএনইউ- এর উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত জানিয়েছেন, 'মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
আরও পড়ুন: 'ওয়াকফ তো অজুহাত মাত্র, উদ্দেশ্য কাফেরদের নির্মূল করไা', বিস্ফোরক BJP MLA
তবে শুধু স্মরণ সিং নয় অন্য তিনটি ঘটনায় আরও তিন অধ্যাপক-সহ ৭ বিরুদ্ধে ব্যব♋স্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধেও আইসিসি শাস্তির সুপারিশ করে। তাঁরা স্কুল অফ হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ, স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্স এবং স্কুল অফ সংস্কৃত স্টাডিজের অধ্যাপক। তাঁদের মধ্যে দু’জনের আগামী তিন বছরের ইনক্রিমেন্ট বা বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি না করার সুপারিশ করা হয়। তৃতীয়জনের কাউন্সেলিংয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। তিনজনের ক্ষেত্রেই আইসিসি-র সুপারিশ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল।কয়েকদিন আগেই গবেষণা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আরেক অনুষদ সদস্য♛কে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই বিষয়টি সিবিআই-এর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের উপর একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টের পর দুইজন অশিক্ষক কর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।