দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ। আর পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সেই দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় যে জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে, সেটার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। একটি মহলের তরফে তো অভিযোগ করা হচ্ছে যে পুরো হামলার নেপথ্যে আছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সেই আবহে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পর্যায়ে পাঁচটি ঘা মেরেছে ভারত। তবে দাবি উঠেছে বদলা নেওয়ার। উরি হামলার পরে যেভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল এবং পুলওয়ামা হামলার পরে যেভাবে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত, সেটার মতোই কোনও সামরিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন অনেকেই। সেই পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তানের সামরিক শক্তির ফারাক দেখে নিন।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ সেরা দেশ হল ভারত। আর পাকিস্তান আছে ১২ নম্বরে। গতবার পাকিস্তান নয় নম্বরে ছিল।
ভারতীয় সেনা বনাম পাকিস্তানি সেনা
ভারতীয় বায়ুসেনা বনাম পাকিস্তানি বায়ুসেনা
ভারতীয় নৌসেনা বনাম পাকিস্তানি নৌসেনা
ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার
গত মাসে নীতি বিষয়ক গবেষণা এবং উপদেষ্টা সংস্থা ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তরফে যে রিপোর্ট (সম্ভাব্য) প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে দাবি করা হয়েছিল যে ভারতের ভাণ্ডারে ১৮০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। আর পাকিস্তানের ভাঁড়ারে আছে ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র। সেইসঙ্গে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিশ্বের যে দেশগুলি পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, সেই তালিকায় ভারত এবং পাকিস্তান।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা রাশিয়া এবং আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবথেকে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার হাতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৪,২৯৯। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের হাতে ৩,৭০০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। সেখানে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত চিনের কাছে আছে ৬০০টি পারমাণবিক অস্ত্র। যে চিনও পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে।