উইকিপিডিয়া অনুসারে বৃহস্পতিবার অনুষ্কা শর্মা ৩৭–এ পা দিলেন। স্ত্রীর জন্মদিনে বিশেষ বার্তা দিলেন বিরাট কোহলি। অনেকের চোখেই তাঁরা আদর্শ জুটি। স্বামী-স্ত্রী তো বটেই, তাছাড়াও তাঁরা একে অপরের প্রিয় বন্ধু। সেই কথায় যেন বার বার প্রতিধ্বনিত হল বিরাটের পোস্টে। আর সেই প্রিয় মানুষটার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দীর্ঘ সন্ন্যাস কাটালেন বিরাট। নিজে মুখেই বলেছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয়ের পরেও পোস্ট করেননি। তা নিয়ে কেউ-কেউ বাঁকা কথা বললেও পালটা মুখ বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন। আর দীর্ঘদিন পরে স্ত্রী'র জন্য আবেগ মাখা পোস্ট করলেন।
যে কোনও পরিস্থিতিতে বিরাট-অনুষ্কা একে অপরের পাশে থাকেন। কেউ কারো হাত ছাড়েন না, বরং আরও শক্ত হয় তাঁদের বাঁধন। তাই স্ত্রীর জন্মদিনে আবেগে ভাসলেন বিরাট। ইনস্টাগ্রামে অনুষ্কার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আমার জীবনসঙ্গী, আমার নিরাপদ আশ্রয়, আমার বেটারহাফ, আমার সবকিছু। তুমি আমাদের সকলের জীবনের পথপ্রদর্শক। আমরা তোমাকে প্রতিদিন আরও অনেক বেশি বেশি করে ভালোবাসছি। শুভ জন্মদিন আমার ভালোবাসা।’
অনুষ্কা শর্মা এবং বিরাট কোহলি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা দম্পতি। দু'জনে একসঙ্গে যখনই সামনে আসেন, তাঁদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন নেটিজেনরা। বিরাটের এই পোস্ট দেখেও অনুরাগীরা ভালোবাসায় ভরে দিয়েছেন। অনেকেই অভিনেত্রীকে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অনুষ্কা শর্মা এবং বিরাট কোহলি। ইতালিতে বসেছিল তাঁদের বিয়ের বাসর। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা পোশাকে সেজে উঠেছিলেন তাঁরা। বিয়ের জায়গাটাও সাজানো হয়েছিল দুর্দান্ত ভাবে। তাঁদের সেই রাজকীয় বিয়ে আজও অনেকের চোখে লেগে আছে। আজও তাঁদের মতো করে সাজতে, বিবাহ বাসর সাজাতে চান অনেকেই। ১১ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বিরুষ্কা।
কিন্তু বিয়ের আগে সমস্ত কিছু রেখেছিলেন গোপন। এই প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিরাট-ঘরণী বলেছিলেন, 'আমরা গোটা বিষয়টা সাধারণ রাখতে চেয়েছিলাম। কোনও কিছুর জন্য কিছু বদলে যাক বা সেটার প্রয়োজন হোক চাইনি। আমরা কেউ বিয়ের আগে এটা মনে করতে চাইনি যে আমরা তারকা।'
বিরাটকে বিয়ে করার পর থেকেই অভিনয়জগৎ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অনুষ্কা। তবে এক্ষেত্রে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন যে বিয়ের পর স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করতে চান তিনি। বর্তমানে দেশ ছেড়ে তাঁরা লন্ডনে। সেখানেই এখন তাঁদের সুখী ঘরকন্না। তাঁদের দুই সন্তান সেখানেই বড় হচ্ছে।