লোকসভা নির্বাচনে কলকাতার নব-নির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। আবার তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক নতুন মুখ। আবার এবারই ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৩০টা আসন পেয়েছে বিরোধীরা। ফলে সংসদে এবার যে বিরোধীদের সুর চড়বে তা বলাই বাহুল্য।
এখন প্রশ্ন, এবার এরাজ্যের বিরোধী দলের মহিলা সাংসদদের মধ্যে কারা বেশি ঝগড়া করতে প্রস্তুত? সম্প্রতি সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন মেদিনীপুরের নব-নির্বাচিত সাংসদ জুন মালিয়া। এবিষয়ে সম্প্রতি TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুন মালিয়া বলেন, ‘ঝগড়া করার জন্য মহুয়া আছে, কাকলিদি আছেন। আর সায়নীও আছে। ঝগড়া করতে ওরা খুব ভালো পারে। আমি শুধু ওদের সাপোর্ট দিয়ে যাব। ওদের ঝগড়া করাই দায়িত্ব। আমার এদের উপর খুব ভরসা।’
তবে জুন মালিয়ার উপর কীসের দায়িত্ব রয়েছে? এবিষয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘আমার দায়িত্ব উন্নয়নমূলক কাজ। আমি আমার সংসদীয় এলাকার মানুষের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরব। এটাই আমার মূল কাজ। এবার দল যদি আমায় বলে, যে এই এই বিষয়ে কথা বলতে হবে, তাহলে সেগুলো তুলে ধরব। যেমন দল যদি বলে ধর্না দিতে হবে, ওয়াকআউট করতে হবে বা কোনও কারণে চেঁচামিচি করতে হবে, তাহলে করব। সেটা তো দলের সিদ্ধান্ত।’
বলাই বাহুল্য মহুয়া মৈত্র জুন মালিয়ারা যেভাবে দাপটের সঙ্গে কথা বলেন, সেক্ষেত্র জুন মালিয়াকে কোনওদিনই বিশেষ গলা চড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। তাই জুন মহুয়া, সায়নীদের থেকে এক্ষেত্রে বেশকিছুটা পিছিয়ে। তবে জুনও নিজের দলে একা নন, তিনি মনে করেন তাঁর দলেই থাকবেন ‘দিদি নম্বর ১’ অর্থাৎ হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুন মালিয়া জানান, তিনি বিধায়ক ছিলেন তিনবছরের জন্য। তবে কখনও বিধায়ক থাকাকালীন সেভাবে কোনও বিধানসভা সেশন মিস করতেন না। চেষ্টা করতেন যোগ দিতে। তখন যদিও তিনি একটা মেগা সিরিয়ালের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করেছেন। তবে জুনের কথায়, তিনি বলেই দিতেন, বিধানসভা সেশন শুরু হলে তিনি ৫টার পরই শ্য়ুটিংয়ে আসতে পারবেন। তবে সাংসদ হয়ে সেটা সম্ভব নয়। কারণ, এবার তাঁকে দিল্লি যেতে হবে। সেই দূরত্ব কিন্তু স্টুডিও পাড়া থেকে অনেক দূর…। জুনের কথায়, এবার তাঁকে তাই বাছাই করে কাজ করতে হবে।