মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে এবার আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হল! এই দাবি করেছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা কুণাল ঘোষ। আজ (বৃহস্পতিবার - ১০ এপ্🎀রিল, ২০২৫) একদিকে যখন চাকরিহারা শিক্ষকদের ডাকে কলকাতায় মহামিছিল আয়োজিত হচ্ছে, সেই সময়েই এদিন দুপুরে তাঁর এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কুণাল ঘোষ একটি পোস্ট করেন। তাতেই মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন তিনি।
কুণাল তাঁর পোস্টে লিখেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দিলেন এক আইনজীবী।' কিন্তু, সেই আইনজীবী কে? সংশ্লিষ্ট পোস্টে অ🧜ন্তত এই সম্পর্কে কুণাল কিছু লেখেননি। তবে, একই পোস্টে 'রামবাম'কে আক্রমণ করেছেন তিনি। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি কোনও বামপন্থী বা বিজেপিপন্থী আইনজীবী এই কাজ করেছেন?
কুণালের বক্তব্য, সুপ♏্রিম কোর্ট এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করার পর চাকরিহারারা যাতে তাঁদের নিয়োগ ফেরত পেতে পারেন, সেই চেষ্টাই করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, বামপন্থী ও বিজেপিপন্থীরা তাঁর সেই প্রয়াস ভেস্তে দিতে চাইছেন। আর সেই কারণেই তাঁরা গোটা প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করে দিতে আইনি জটিলতা তৈরি করছেন। কুণালের প্রশ্ন, চাকরিহারারা কি এটাই চান?
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে লিখেছেন - 'SC-র রায়ের চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে চাকরিসুরক্ষার চেষ্টা করছেন, তাতে জটিলতা তৈরি করে প্রক্রিয়ার গতি কমানোর চক্রান্ত। চাকরিহারারা কী চান? মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টা সফল 𝕴হোক, আপনাদের চাকরি বাঁচুক; নাকি এসব আইনি জট পাকানোর চক্রান্তকারীরা জটিলতা বাড়াক। অবস্থান নিন আপনারা।' তিনি আরও দাবি করেন, 'রামবাম ভোটে পারে না, কোর্টে জট পাকায়।'
এরপরই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতীয় 🅺বিচারব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কিন্তু, কখনও যদি কারও মনে হয় কোথাও সুবিচার হয়নি, বা সেই বিচারের ফলে অনেক নিরপরাধ ꧒শাস্তি পাচ্ছেন, তাহলে সেই রায় পুনরায় বিবেচনা করে দেখার আর্জি যেকোনও নাগরিকই করতে পারেন। মমতাও সেটাই করেছেন।
কুণাল এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বিচারব্যবস্থায় সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। বিচারপতিদের সম্মান দেন। কিন্তু কোনো রায়ে ন্যায়বিচার না হলে বা বহু মানুষের ক্ষতি হলে, সেই অংশ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে পুনর্বিবেচনার কথা বলেন। এর সঙ্গে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। মনে রাখবেন, বিচারপতি চাকরি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হতেꦅ গেলেও সাধারণ মানুষের চোখে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেཧ।'
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্রায় 🐼সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইনি পথে এই রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলেন এবং চাকরিহারাদের তাঁদের নিজ নিজ স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার প্রস্তাব দেন। একইসঙ্গে, দু'মাসের এই কষ্ট পুষিয়ে দꦇেবেন বলেও কথা দেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাকরিহারাদের একটি বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।