বিজেপিকে এখনই ফ্যাসিস্ট বলতে নারাজ সিপিএম। এটা তাদের দলীয় অবস্থান। আর তা প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য সম্মেলন থেকে। বিজেপি এবং সিপিএমের তাই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে এক হয়ে গেল বিজেপি–সিপিএম। এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে নলহাটি–২ ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে। এখানে জোট বেঁধেছে বিজেপি–সিপিএম। মঙ্গলবার দু’দলের প্রার্থীরা একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মোট ৬টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে বিজেপি এবং দু’টিতে সিপিএম জমা দিয়েছে মনোনয়ন। এটা দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, বিজ🌟েপি–সিপিএমের এই আঁতাতের জবাব মানুষ দেবে।
কামালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন ৬। এই সমবায় বেড়াশিমূল গ্রামে রয়েছে। কল্যাণপুর, বেড়াশিমূল, কামালপুর, বারুনিঘাটা, সাহেবনগর এবং টিঠিডাঙা গ্রাম নিয়ে কামালপুর সমবায় গঠিত। গত ২৫ বছর পর কামালপুর সমবায়ের নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১৩ এপ্রিল কামালপুর সমবায়ের নির্বাচন। তাই সোমবার এবং মঙ্গলবার মনোনয়ন পর্ব মিটেছে। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৬টি আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। আর সিপিএম–বিজেপি একসঙ্গে এসে ৭টি মনোনয়ন জমা দেয় বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। বেড়াশিমূল গ্র♋ামে নির্দল প্রার্থী হিসাবে একজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে পাঁচটি এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে দু’টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। আজ বুধবার স্ক্রুটিনি হবে।
আরও পড়ুন: কিডনি পাচার নিয়ে তদন্ত, বড় চক্রের যোগসাজশ, রহস্যময়ীর খোঁজে তল্লাশি পুলিশের
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করে শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট। কয়েকটি সমবায় নির্বাচনেও তা দেখা গিয়েছিল। সেটা নিয়ে হইচইও হয়েছিল। এখানে সাহেবনগর ও টিঠিডাঙা মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ায় ওই দু’টি আসন সিপিএমকে ছাড়া হয়েছে। পঞ্চায়েতে টিঠিডাঙায় সিপিএম জিতেছে। সাহেবনগরে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। সিপিএম 🍸নেতাদের সঙ্গে নিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এসবের কোনও প্রভাব প♒ড়বে না বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি এবং সিপিএম। তাই এমন অবস্থায় সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য রোহন শেখ বলেন, ‘দু’টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছি। বাকিগুলিতে সংগঠন নেই বলে দিইনি। বিজেপির সঙ্গে আমাদের লড়ার কথা নয়। আমাদের মূল শত্রু এখন তৃণমূল কংগ্রেস। এখন অনৈতিক পথ ভাঙতে গিয়ে যদি বিজেপি এসে দাঁড়ায় তাহলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। আর এখানে কোনও সিম্বল দিয়ে লড়াই হচ্ছে না।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের এখানের পাঁচ সদস্যের কমিটির সদস্য আবু জাহের রানার বক্তব্য, ‘রাজ্যজুড়ে বিজেপি ও সিপিএম নেতারা একে অপরের স্পর্শ এড়িয়ে চলার নাটক করে। অথচ ওরা বাস্তবে এক। ওদের মুখ আর মুখোশ সম্পূর্ণ পৃথক। মানুষ সবই দে🤪খছে।’