লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হিমাচল প্রদেশে ডামাডোল চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। হিমাচল প্রদেশের বিদ্রোহী ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের গোষ্ঠীতে যোগ দিলেন আরও পাঁচ জন। আজ, শনিবার সকালে তাঁরা সকলেই পাড়ি দিয়েছেন বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরাখণ্ডে। তার ফলে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল বলে মনে করা হচ্ছে। এমন একটা ঘটনা হবে তা অনেকে বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেটা এভাবে হবে ভাবতে পারেননি। ফলে কংগ্রেস বিধায়করা সরাসরি দলকে ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন।
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বিজেপির রাজ্য হরিয়ানাও। সেই রাজ্যের নম্বর প্লেট লাগানো একটি বাসে করে শনিবার ওই বিধায়করা উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশে বিলাসবহুল তাজ হোটেলে পৌঁছন। ওই হোটেলে কয়েকজন বিজেপি নেতাকেও তখন দেখা গিয়েছে। এখানে তিনজন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন। দু’দিন আগে নয়াদিল্লি গিয়ে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আসেন সুখু। তারপর বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়ককে ফিরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তখন মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেছিলেন, ‘যদি কেউ নিজের দোষ বুঝতে পারে তবে সেই ব্যক্তি আরও একটি সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।’ তবে তার আগে ঘটে গেল অভূতপূর্ব ঘটনা।
আরও পড়ুন: কাঁকিনাড়ার রেললাইনে বোমা পড়ে! আতঙ্কে ঘুরপথে গেল ট্রেন, তদন্তে নামল আরপিএফ
অন্যদিকে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব বিষয়ক অর্থবিলের পক্ষে ভোট না দেওয়ায় দলীয় হুইপ অমান্য করার ঘটনায় পড়েন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভা স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেন। এই বিধায়করা হলেন—রবি ঠাকুর, রাজেন্দ্র রানা, সুধীর শর্মা, ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল, চৈতন্য শর্মা এবং দেবেন্দ্র ভুট্টো। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেন। তার জেরে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি হেরে যান। ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের বেশিরভাগই পদত্যাগী মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং এবং তাঁর মা তথা হিমাচল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংয়ের ঘনিষ্ঠ। রাজ্যসভা নির্বাচনের পরই সুখুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুলে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন বিক্রমাদিত্য।