জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতের পদক্ষেপের আশঙ্কায় ভুগছে পাকিস্তান। এই আবহে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মে মাসে করাচি ও লাহোরের কিছু অংশে প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। এই সময়কালে সেখান দিয়ে পাকিস্তানি কোনও বিমা উড়তে পারবে না। এদিকে সেই দেশের সকল বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতকে খুঁচিয়েই চলেছে পাকিস্তান, ভয়ের মুখে LoC-তে সেনা বাড়াল মুনিরের বাহিনী)
আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে শেহবাজের সঙ্গে বৈঠকে চিনা দূত, কী ছক কষছে দুই দেশ?
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাক সরকার বলেছে, '১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ থাকবে লাহোর এবং করাচির বেশ কিছু জায়গায়।' দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, এই সময়কালে আকাশসীমা বন্ধের ফলে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনায় তেমন কোনও বিঘ্ন ঘটবে না। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে বিকল্প রুটে উড়ে যাবে ফ্লাইটগুলি। (আরও পড়ুন: 'কাশ্মীরের আগে আফগানিস্তান...', পাকিস্তানি সেনার নীতি নিয়ে প্রশ্ন ফজল-উর-রহমানের)
আরও পড়ুন: ‘ভারত পাকিস্তানে হামলা করলে আমাদের উচিৎ সেভেন সিস্টার্স দখল করা’
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে আকাশসীমা বন্ধের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো প্রধান বিমানবন্দরগুলি থেকে বিমান চলাচল ন্যূনতম সমন্বয়ের সাথে জারি থাকবে। এদিকে উত্তর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বালটিস্তানে উড়ান প্রায় বন্ধ বললেই চলে।
এর আগে ভারতীয় বিমানের জন্যে পাক আকাশসীমা বন্ধ করেছিল ইসলাাবাদ। এর পরে ভারতও জানিয়ে দেয়, ভারতের আকাশসীমা আর ব্যবহার করতে পারবে না পাকিস্তানি বিমান। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমান, পাকিস্তানি বিমান সংস্থা বা অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমান, সামরিক বিমান সহ সব ধরনের পাকিস্তানি বিমানেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৫ ভারতীয়-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়। হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মীদের ফেরত পাঠানো, ভিসা বাতিল, সব পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে বলা, সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ করা। এই সবের মাঝে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কাছেই ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি। আর তাই ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত করাচি এবং লাহোরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানের ওপর দিয়ে কোনও বিমানের চলাচলেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসলাাবাদ।