এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের দফতরে ভয়াবহ আগুন লাগল রাতের অন্ধকারে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইতে। গতকাল গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এই আগুনে কেউ হতাহত না হলেও দফতরে থাকা বহু নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত আড়াইটে নাগাদ এই আগুন লাগে। দমকলে খবর দেওয়া হয় তারপর। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। পরে আরও ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠায় দমকল। (আরও পড়ুন: ৭৪০ কিমি LoC বরাবর একাধিক সেক্টরে কড়া জবাব ভারতীয় সেনার, কী হল রাতের অন্ধকারে?)
আরও পড়ুন: সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন ভারতের? গলার বদলে এবার শুকিয়ে গেল পাকিস্তানের মুখ
আরও পড়ুন: আগে নিজের ঘর সাফ করতে হবে, পহেলগাঁও হামলার আবহে কাশ্মীরে বড় পদক্ষেপ ভারতের
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বালার্ড এস্টেট এলাকায় গ্র্যান্ড হোটেলের সামনেই অবস্থিত ইডির এই দফতর। সেই বিল্ডিংটার নাম 'কায়সার-ই-হিন্দ' গভীর রাতে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আবহে দমকলকর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছিল। এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কী কারণে ঘটেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুন লাগার প্রায় একঘণ্টা পরে, ভোর রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ এই আগুনকে 'লেভেল ২' আখ্যা দেওয়া হয়। পরে ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে 'লেভেল ৩ পর্যায়ের আগুন' হিসেবে ঘোষণা করা হয় এই অগ্নিকাণ্ডকে। (আরও পড়ুন: ফের রক্ত ঝরল উপত্যকায়, কাশ্মীরি সমাজকর্মীকে বাড়িতে ঢুকে গুলি জঙ্গিদের)
আরও পড়ুন: ভারতকে 'পূর্ণ সমর্থনের' বার্তা FBI প্রধান কাশ প্যাটেলের, পহেলগাঁও নিয়ে বললেন…
আরও পড়ুন: ৪ দিন পার, এখনও পাকিস্তানের হেফাজতে রিষড়ার BSF জওয়ান পূর্ণম
পরে বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টার পরে ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তখনও ধোঁয়া উঠছিল সেখানে। এই গোটা ভবনটি পাঁচতলা। আগুন শুধুমাত্র পঞ্চমতলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে আধিকারিকদের কেউ মুখ খুলতে চায়নি। এদিকে কী কী নথি এই আগুনের জেরে নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বা কী ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে, তাও জানা যায়নি আপাতত। গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।