চলতি মাসেই বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত নতুন ছবি ‘সন্তান’। তবে তার আগে মঙ্গলবার রাতে শহরের এক মাল্টিপ্লেক্সে হয়ে গেল ছবির প্রিমিয়ার। ছবির প্রিমিয়ারে বসেছিল চাঁদের হাট। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে অঙ্কুশ, বনি-কৌশানি, কাঞ্চন-শ্রীময়ী, সৃজিত মুখোপাধ্যায় তালিকাটা ছিল দীর্ঘ। এই তারকা সমাবেশে ধরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী- সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টপাধ্যায়ও। ছবি দেখে মায়ের কথা মনে পড়তেই আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী।
বড় হয়ে অনেক সময়ই সন্তানরা বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিতে চান না। অনেক মা-বাবার স্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে কোনও এক বৃদ্ধাশ্রম। আবার কোনও কোনও সন্তান বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়ে বাবা-মায়ের খোঁজটুকু পর্যন্ত নেন না। সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কের সেই টানা পোড়েনের গল্পই ফুটে উঠেছে রাজের ছবিতে। আর এবার সেই ছবি দেখেই সদ্য মাতৃহারা সুদীপা আবেগে ভাসলেন। ছবি দেখে মায়ের কথা মনে পড়তেই সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখলেন ‘মা থাকলে টিকিট কেটে, এই ছবি দেখতে যাওয়াই যেত।’
আরও পড়ুন: ‘বাইরে ব্যক্তিগত শোক প্রকাশ করা চলবে না’, বড় মেয়ের মৃত্যু নিয়ে অকপট মৌসুমী
সুদীপা লেখেন, ‘অনেকদিন পর একটা বাংলা সিনেমা, যেটা হলে গিয়ে দেখার ইচ্ছে ছিল।মা থাকলে হয়তো টিকিট কেটে এই ছবি দেখতে যাওয়াই যেত। কিন্তু, মা চলে যাওয়ার পর, আর বাংলা ছবি দেখা হয় না। সুযোগ এলো রাজ আর SVF নিমন্ত্রণ করল বলে।’
সঞ্চালিকার দীর্ঘদিনের বন্ধু পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তাই তাঁর ডাক ফেরাতে পারেননি তিনি। তাঁর উপর উপরি পাওনা মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনেতার প্রসঙ্গে সুদীপা লেখেন, ‘একটা কথা আগেই বলে রাখা ভালো আমি মিঠুনদার অন্ধ বললেও কম বলা হবে।মিঠুনদার থেকে ঠিক যেরকম মাপা অভিনয় করবে আশা করেছিলাম, ঠিক সেরকমই পেলাম। এর বেশি বলার দরকার নেই। আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’
সুদীপা ছবির অন্যান্য কলাকুশলীদেও যথেষ্ঠ প্রসংশা করেন। ঋত্বিক চক্রবর্তীকে বিখ্যাত অভিনেতা বিকাশ রায়ের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘ওঁর আর মাম্পির (অপরাজিতা ঘোষ দাস) বাড়ির ব্যালকনিতে জুতো পড়লেও, অবাক হব না।’ সঞ্চালিকার মতে, ঋত্বিক না থাকলে নাকি ছবিটাই জমত না।
আরও পড়ুন: ‘ওর ইচ্ছে ছিল মায়ের বিয়েতে নিত-কনে হবে’, বেশি বয়সে মল্লিকাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে সাহস দেয় মেয়েই
শুভশ্রীর অভিনয়েও ভীষণ প্রসংশা করেছেন সুদীপা। তাছাড়াও পর্দায় প্রথমবার অহনাকে দেখে তিনি বলেছেন, ‘এক উজ্জ্বল আবিষ্কার।’ তবে কেবল অভিনেতাদের কথা বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি।