সইফ আলি খানের বাড়িতে ডাকাতির সময় অভিনেতার উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ৬ বার নায়কের উপর ছুরির কোপ পড়ে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতের এই ঘটনায় মায়ানগরীতে চাঞ্চল্য। আপতত বিপদমুক্ত সইফ, ভর্তি রয়েছেন লীলাবতী হাসপাতালে। দু-তিন দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। চলছে পুলিশি তদন্ত। আরও পড়ুন-সইফকে ছুরি মারার সময়, কোথায় ছিলেন করিনা? পার্টি করছিলেন নাকি ছিলেন ঘুমিয়ে? বয়ান রেকর্ড মুম্বই পুলিশের
এই ঘটনায় এবার মুম্বই পুলিশের সামনে বয়ান রেকর্ড করলেন সইফ ঘরণী করিনা কাপুর খান। তিনি পুলিশকে জানান, ধস্তাধস্তির সময় দুষ্কৃতীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল কিন্তু খোলা জায়গায় রাখা কোনও গয়না স্পর্শ করেনি। যা রীতিমতো প্রশ্ন তুলছে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য নিয়ে।
বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দ্রার সতগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে সইফ আলি খানের ১২ তলার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়ে এক অনুপ্রবেশকারী। ছেলের ঘরে আওয়াজ শুনে ঘুমন্ত সইফ দৌড়ে আসেন, এরপর সন্দেহভাজনকে আটকাতে গেলে ছ'বার ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি।
সইফ আলি খানের মেরুদণ্ড ও ঘাড়ে গুরুতর চোট লেগেছে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে যখন অভিনেতাকে হাসপাতালে আনা হয়, তখন তাঁর মেরুদণ্ডে ছুরি ঢুকে গিয়েছিল। অপারেশনের পর তা বার করা হয়েছে, ছুরির সেই কোপ ২ মিলিমিটার এদিক ওদিক হলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারত, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, করিনা কাপুর খান তার বয়ানে বলেছেন, সইফের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় হামলাকারী খুবই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং তাঁকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে। তবে তিনি আরও জানান, তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে খোলা জায়গায় রাখা কোনও গয়না ওই দুষ্কৃতী স্পর্শ করেননি।
এদিকে সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলা ও ডাকাতির চেষ্টাকারী অভিযুক্তদের খোঁজে ২০টি দল গঠন করেছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আরও পড়ুন-সইফের চিকিৎসার খরচ ৩৫ লক্ষ! মেডিক্লেমের থেকে কত টাকা পেলেন করিনার বর?
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে রাতের বেলায় অযথা ঘোরাফেরা করা লোকজনের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। শুক্রবার রাতে ১৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। সইফের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি জবানবন্দি রেকর্ড করেছে বলে জানা গেছে।