নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে জোর চর্চা ক্রিকেটমহলে। বিশ্বকাপের ম্যাচের জন্য এমন বোলিং সহায়ক বাইশগজ যথাযথ কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে এই নিয়ে সংশয় নেই যে, বিশ্বকাপে অত্যন্ত উত্তেজক ম্যাচ উপহার দিচ্ছে নিউ ইয়র্কের পিচ।
রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১১৯ রান হাতে নিয়ে ম্যাচ জেতে ভারত। সেটি ছিল যুগ্মভাবে ছেলেদের টি-২০ বিশ্বকাপে শুরুতে ব্যাট করে সব থেকে কম রান তুলেও ম্যাচ জেতার সর্বকালীন নজির। সোমবার টিম ইন্ডিয়ার সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সোমবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর ডি-গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ব্যাট করে প্রোটিয়া দল সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১১৩ রান। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ আটকে যায় ৭ উইকেটে ১০৯ রানে। ছেলেদের টি-২০ বিশ্বকাপে শুরুতে ব্যাট করে এত কম রান তুলে ম্যাচ জিততে পারেনি আর কোনও দল। সেদিক থেকে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ, টি-২০ বিশ্বকাপে সব থেকে কম রান ডিফেন্ড করার সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ছেলেদের টি-২০ বিশ্বকাপে সব থেকে কম রান নিয়ে ম্যাচ জয়ের তালিকা:-
১. দক্ষিণ আফ্রিকা- ১১৩ (বনাম বাংলাদেশ, ২০২৪)।২. ভারত- ১১৯ (বনাম পাকিস্তান, ২০২৪)।৩. শ্রীলঙ্কা-১১৯ (বনাম নিউজিল্যান্ড, ২০১৪)।
উল্লেখ্য, সোমবার নিউ ইয়র্কে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। শেষমেশ এনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের সতর্ক ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে। ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন। মারেন ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। মিলার ৩৮ বলে ২৯ রান করেন। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে আটকে যায়। ৪ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সুবাদে তারা প্রথম দল হিসেব চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটের টিকিট পকেটে পোরে। বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয় ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া মাহমুদুল্লাহ ২০ রান করেন। ব্যাট হাতে চোয়ালচাপা লড়াইয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন এনরিখ ক্লাসেন।