কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। এই রাস্তা সম্প্রসারণের ফলে বর্ষার সময় রাস্তার দুই ধারে জল জমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। বিশেষ করে পানিহাটি, ভাটপাড়া, ব্যারাকপুরের ওয়ারলেস মোড়, নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর জংশন, মুড়াগাছা জংশন ও ঘোলা বাজারের মতো এলাকার মানুষ এরফলে সমস্যায় পড়তে পারেন। এই অবস্থায় বিধানসভায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে রাস্তার ধারে জলাশয়গুলির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে মোটর পাম্প বসানোর মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: BJP শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা, প্রশ্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে)
আরও পড়ুন: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সাথে মিলবে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কতদূর হল কাজ?
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি ধাপে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই কাজ একবার সম্পন্ন হয়ে গেলে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কল্যাণী পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে মাত্র ৪৫ মিনিটেই। যদিও বর্তমানে এই রাস্তায় ভ্রমণে সময় লাগে দু ঘণ্টা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাতে উপকৃত হতে চলেছেন রাজ্যবাসীরা। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে রাস্তার দুধারে জল জমতে পারে। বিশেষ করে, বর্ষাকালে এই সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। সেই কারণে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মূলত নিকাশি পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। (আরও পড়ুন: বরোদায় মহিলাকে পিষে 'নিকিতা' বলে চেঁচায় সেই চালক, কে এই 'নিকিতা'?)
আরও পড়ুন: মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণ, CM বললেন 'শান্তি নষ্টের চেষ্টা', কমিশনার নিলেন ISI-এর নাম
সিদ্ধান্ত হয়েছে, পূর্ত দফতর রাস্তার পাশে অবস্থিত জলাভূমির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এরজন্য ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও বর্ষার মরশুমে জল নিষ্কাশনের জন্য মোটর পাম্প বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকেও নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে নিমতা থেকে মুড়াগাছা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। সেই সঙ্গে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে সংযুক্ত করে এলিভেটেড করিডর নির্মাণ করা হবে। পরে মুড়াগাছা থেকে কাঁপা পর্যন্ত ৩০.৪৯ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার সড়ক নির্মাণের দায়িত্বে থাকলেও সড়কের দু’পাশের এলাকা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ওপর রয়েছে।