তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতির কেরামতি দেখে সাধারণ মানুষ তো বটেই চোখ কপালে উঠে ইডি দুঁদে গোয়েন্দাদের। এবার ইডির চার্জশিটে প্রকাশ্যে এল দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার পার্থর আরও এক নিনজা টেকনিক। আদালতে চার্জশিট পেশ করে ইডি জানিয়েছছে, বেনামে ফ্ল্যাট বুক করে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দেখাতেন পার্থ। তবে সেই ফ্ল্যাটের পুরো টাকা কোনও দিন শোধ করেননি তিনি।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি আদালতে পঞ্চম চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে তারা জানিয়েছে, বেনামে ফ্ল্যাট বুক করে কালো টাকা সাদা করতেন পার্থ। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে এভাবে কালো টাকা সাদা করতে ইমপ্রোলাইন কনস্ট্রাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং এইচআরআই ওয়েল্থ ক্রিয়েশন রিয়েলটর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে ২টি সংস্থা খুলেছিলেন পার্থ। রাজীব দে, সুরঞ্জিতা জানা ও স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়কে এই ২ সংস্থার ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করেছিলেন পার্থ। রাজীব ও সুরঞ্জিতার নামে কলকাতার বিভিন্ন নামি ডেভেলপারের কাছে ফ্ল্যাট বুক করতেন পার্থ। ২ সংস্থার মাধ্যমে লেনদেন হত টাকা।জানা গিয়েছে,কলকাতার বিভিন্ন নামি ডেভেলপাকরে ফ্ল্যাট কেনার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু তার পর দশক ঘুরতে চললেও ফ্ল্যাটের পুরো টাকা শোধ করেননি কাউকেই। এর জেরে কয়েকজন ডেভেলপার পার্থর সংস্থার বুকিং বাতিল করে টাকা সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দিয়েছেন। পার্থর প্রভাবের কথা বিবেচনা করে অনেকেই সেই সাহস দেখাতে পারেননি।এব্যাপারে বিভিন্ন ডেভেলপার সংস্থার কর্ণধারদের জেরা করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে কেউ ৫ লক্ষ তো কেউ ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন। এব্যাপারে অম্বুজা - নেওটিয়া সংস্থার কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়াকেও জেরা করেছিলেন গোয়েন্দারা। তিনিও একথা স্বীকার করেছেন।