তাঁকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের পরই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। এরই মধ্যে নিরাপত্তার অভাব বোধের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দাঙ্গা করিয়েছেন, মসজিদ ভেঙেছেন, কার্তিক মহারাজকে ফের বেলাগাম আক্রমণ মমতার
পড়তে থাকুন: মমতার হুমকির পর জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা হয়েছে, দাবি মোদীর
এদিন মহারাজ বলেন, ‘শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের মতো আমাদের ওপরেও হামলা হতে পারে। তবে আমরা সেই হামলা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। আমরা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি। আমাদের এখানে বহু আবাসিক ছাত্র থাকে। তারা ভয় পাচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ করেছি। রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদেরও আমরা বিষয়টা জানাব।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আমার পাশে আছেন। আমাদের ১২টা স্কুলের অনেক ছাত্রের অভিভাবক আমাকে ফোন করে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু। এছাড়া অপূর্ব সরকার, নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যাও আমাকে ফোন করেছিলেন।’
শনিবার ভোটপ্রচারে আরামবাগের গোঘাটের এক জনসভা থেকে ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকনকে নাম করে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা আশ্রমের প্রধান কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দকে তিনি সন্ন্যাসী বলে মনে করেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের একাংশের সন্ন্যাসী প্রকাশ্যে বিজেপিকে সমর্থন করছেন বলেও দাবি করেন মমতা।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা, সন্ন্যাসীদের নিগ্রহের অভিযোগ
মমতার এই মন্তব্যের পরদিনই রবিবার রাতে শিলিগুড়ির শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের একটি আশ্রমে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। সন্ন্যাসীদের মারধর করা হয়, আবাসিকদের অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। সেই ঘটনার উল্লেখ করে এদিন কার্তিক মহারাজ বলেন, আমাদের ১২টা স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে ৪টে হাই স্কুল। এতে মোট ১২ হাজার ছাত্র পড়ে। তাদের নিরাপত্তার কথা আমাদের ভাবতে হয়।