রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সিআরপিএফ মোতায়েন থাকে। সেজন্য বাহিনীর খরচ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার সিআরপিএফের সেই বকেয়া মেটায়নি বলে অভিযোগ করা হল। দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০৯৪ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্য পুলিশ ডিরেক্টরটকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনিতেই বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিনের।
আরও পড়ুন: মণিপুরের CRPF ক্যাম্পে গুলি জওয়ানের, নিহত ২ সহকর্মী, আহত আরও ৮, আত্মঘাতী ‘ঘাতক’ও
সাধারণত যে সমস্ত এলাকায় কড়া নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়ে থাকে। যার মধ্যে জঙ্গলমহল, বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও, অনেক সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ডিউটিতে মোতায়েন করতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাছাড়া ভোটের সময় বাহিনীর সদস্যরা ডিউটি করে থাকেন। তার জন্য নির্দিষ্ট অর্থ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। সাধারণত প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর রাজ্য সরকারকে বকেয়া বিল পাঠিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
যদিও দীর্ঘদিনের বকেয়া থাকলেও নিরাপত্তার কথা মাথা রেখে কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনী তুলে নেয় না। সাধারণত সিআরপিএফের পাঠানো বিল পুলিশ ডিরেক্টরটের কাছে পাঠানো হয়। পরে ডিরেক্টরটের তরফে বিল পাঠানো হয় নবান্নের অর্থ দফতরে। সেখান থেকে টাকা ছাড়লে তবেই সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গত কয়েক বছর ধরে সিআরপিএফ একের পর এক বিল পাঠিয়ে গেলেও তা মেটায়নি রাজ্য সরকার। যার ফলে বকেয়া জমতে জমতে কার্যত পাহাড় হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বারবার রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করেছে। অভিযোগ, তারপরেও সেই অর্থ মেটাতে তৎপর হচ্ছে না সরকার। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না মেটালে জরিমানা পর্যন্ত করা হয়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, অধিকাংশ রাজ্য এই টাকা মেটালেও বাংলা সরকার এই টাকা মেটাচ্ছে না। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বকেয়া টাকা মেটানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। সেক্ষেত্রে বকেয়ার কিছু অংশ যাতে মেটানো যায়, সেবিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। দ্রুত তা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।