আগামী ৩০ এপ্রিল (২০২৫) - অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির তথা জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন করা হবে। তার আগে বিরাট যজ্ঞ ও মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বহু নেতা, মন্ত্রীই হাজির থাকবেন। আর এখন শোনা যাচ্ছে, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু মজমদারকে।
সংবাদমধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে, ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতার কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে, তিনি ও তাঁর স্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সকলকে কার্যত চমকে দিয়ে বিয়ে করেছেন বছর ষাটেকের দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিয়েতেও শুভেচ্ছাবার্তা ও ফুল পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর, এবার তাঁকে রাজ্য সরকরের পক্ষ থেকে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনেও আমন্ত্রণ জানানো হল।
এদিকে, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে সাজো সাজো রব। চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। মন্দিরের উদ্বোধনী পর্ব যাতে নির্বিঘ্নে মেটে, তার জন্য ব্যবস্থাপনায় কোথাও কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নয় রাজ্য প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। শুধুমাত্র মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা করে ১০০ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, মন্দিরের উদ্বোধনের সময়, তার আগে ও পরে দিঘায় যাতে আইন-শৃঙ্খলা এবং সাধারণ জনজীবনের কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে - আগামী ৩০ এপ্রিল দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে মন্দিরের উদ্বোধন হবে। তারপর ৩টে ১০ মিনিটে নিয়ম মেনে দ্বারোদ্ঘাটন করা হবে। সেই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত থাকবেন পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈত্যাপতি। উল্লেখ্য, পুরীর মন্দিরের আদলেই দিঘায় জগন্নাথ ধাম নির্মাণ করা হয়েছে। যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। মন্দির উদ্বোধনের দিন তিনি সোনার ঝাঁটা দান করবেন বলেও শোনা গিয়েছে।
এখন এই পুরো ঘটনক্রমের সাক্ষী থাকতে দিলীপ ঘোষণ সস্ত্রীক সেখানে উপস্থিত হন কিনা, সেটাই দেখার। এদিকে, ওই দিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একই জেলায় পালটা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে লক্ষ সনাতনী সমাবেশ করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া গেলে গেরুয়া শিবিরের অনেক হেভিওয়েট উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।