আগামী ১১ ডিসেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেষমেষ সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিলই করতে হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিলের কথা জানানো হয়। অন্যদিকে, ছাত্র আন্দোলন, বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্য প্রশাসন সাহায্য করছে না বলেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বিশ্বভারতীতে এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সমবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। এছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের এই অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল। তবে ছাত্র আন্দোলনে অশান্ত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ছাত্রদের সঙ্গে দফায় দফায় নিরাপত্তায় রক্ষীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। দিন কয়েক আগে উপাচার্যের বাসভবনের গেট টপকানোর চেষ্টা করেন পড়ুয়ারা। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রায় দুসপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এই আন্দোলনে পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই দাবিতেই তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কার্যত গৃহবন্দি রয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমাকে রাজ্য প্রশাসন কোনও সাহায্য করছে না। আমি বন্দি হয়ে রয়েছি ১৭ দিন ধরে। আমাকে মেরেছে। এই সময় কীভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করব। দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে রাজ্যের মুখ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ পোড়াতে পারব না।’