ইতিমধ্যেই আবাসের জন্য টাকা ছেড়েছে রাজ্য সরকার। যা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তারা টাকা আটকে রাখা সেটা প্রত্যেক উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালেও আবাস প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির টাকায় যে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে সেটার প্রমাণ রাখতে হবে। এমনকী নির্মাণ সামগ্রীর অভাবে কাজ যাতে না থমকে না যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে জেলার অফিসারদের। এই বার্তা এসেছে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে। বাড়ি নির্মাণের কাজে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় লাগবে ইট। এই ইট জোগাড় করতে যদি ভিন রাজ্য থেকে তা আনা হয় তাতে প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই।
এবার একসঙ্গে ১২ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কারণ ১২ লক্ষ উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে একটি বাড়ির আয়তন কমপক্ষে ২৫ বর্গ মিটার হতে হয়। সেখানে রান্নাঘর এবং শৌচালয় থাকবে। এই বর্গ মিটারে একটি ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করতে কমবেশি আট হাজার ইট লাগে। সুতরাং ১২ লক্ষ বাড়ির জন্য প্রায় ৯৬০ কোটি ইটের চাহিদা আছে। তাই প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে ইটের জোগান স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন। তাই এখন ইটভাটা মালিকদের সঙ্গে জেলা কর্তারা বৈঠকও করেছেন। পৃথক দলও গঠন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনিক স্তরে।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া গতির জেরে ডিভাইডারে ধাক্কা, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত যুবতী স্কুটি চালক
আরও যখন ‘বাংলার বাড়ি’ গড়ে তোলার টাকা ছাড়া হবে তখন নতুন করে ইটের চাহিদা বাড়বে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, আরও ১৬ লক্ষ এই ‘বাংলার বাড়ি’ নির্মাণের জন্য তিনি টাকা ছাড়বেন। তখনও ইটের চাহিদা বাড়বে। এই কারণে জেলা অফিসারদের একাংশ জানান, ইটের চাহিদা মেটানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ী যাতে ঢুকে যেতে না পারে তাই কড়া নজর রাখা হয়েছে। ইটের জোগান স্বাভাবিক রাখতে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ইট নিতে কোনও বাধা নেই। উত্তরবঙ্গের জেলায় অসম–সহ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ইট আসতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে ইটের জোগান এবং দাম সঠিক রাখা হবে।