সন্ত্রাস দমনে নিরাপত্তা পরিষদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। গুরুতর জখম হয়েছেন অনেকে। যা নিয়ে এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তান বিবাদ চরমে। সীমান্তে নতুন করে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইজরায়েলের মতো দেশগুলি।
আরও পড়ুন-'অমরনাথ যাত্রা সফল হবে!' পহেলগাঁও হামলায় সংশয়ে তীর্থযাত্রীরা, আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
১৫টি দেশের নিরাপত্তা পরিষদ এক প্রেস বিবৃতিতে এই নিন্দনীয় জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং ষড়যন্ত্রকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের আওতায় আনার উপর জোর দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।' বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, 'নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা নিহতদের পরিবার, ভারত সরকার এবং নেপাল সরকারের প্রতি গভীর শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।' রাষ্ট্রসংঘ আরও বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সংগঠন বা তাদের মদত দেওয়া দেশ বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক আইন প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিচারের আওতায় আনবার বিষয়ে সমস্ত রাষ্ট্রকে সাহায্য করা উচিত। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ফ্রান্সের জারি করা এই বিবৃতিটি রাষ্ট্রসংঘের ফ্রান্সের স্থায়ী প্রতিনিধি জেরোম বোনাফন্ট প্রকাশ করেন। নিরাপত্তা পরিষদ সুস্পষ্টভাবে বলেছে, সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য গুরুতর হুমকি এবং এর কোন অজুহাত থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন-'অমরনাথ যাত্রা সফল হবে!' পহেলগাঁও হামলায় সংশয়ে তীর্থযাত্রীরা, আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
এদিকে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আমরা শোকাহত। কিন্তু ভারত আর পাকিস্তানকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে আসতে হবে। মহাসচিব গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন। ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়।' পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে ডুজারিক বলেন, 'আমরা ফের আবেদন করছি। এমন কিছু করবেন না যাতে উত্তেজনা আরও বাড়ে।'