বাংলাদেশের রাজশাহীর সারদায় পুলিশ অ্যাকাডেমি। সেখানে প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে এবার শোকজ করা হল। প্রথম আলোর প্রতিবেদন ও বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার অ্য়াকাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার তানভীর সালেহি এনিয়ে শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা প্রশিক্ষণ চলার সময় এলোমেলোভাবে হেঁটেছেন।
কেন তাঁদের শোকজ?
সেই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬শে নভেম্বর সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুসারে বিকেলের সেশনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্যারেড চালু হওয়ার পরে কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএএসআই কেন্দ্রীয় কমান্ডের অংশ হিসাবে দৌড়ের নির্দেশ দিলে আপনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে দৌড় না দিয়ে এলোমেলোভাবে হেঁটে হেঁটে চলা শুরু করেন।আপনাদের কারণে মাঠের অন্যরা( প্রশিক্ষণ যাঁরা নিচ্ছিলেন) সঠিকভাবে দৌড়তে পারছিলেন না। আপনাকে বার বার দৌড়নর কথা বলা হলেও আপনি তাঁর কথায় কোনও কর্ণপাত না করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তিমূলক কথা বলা শুরু করেন। আপনি সহ আপনার অন্য সহযোগীদের এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে মাঠে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। একজন প্রশিক্ষণরত এএসপি( প্রবেশনার) হিসাবে আপনার এরূপ আচরণ ও কার্যকলাপ মাঠের অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের শৃঙ্খলাভঙ্গে উৎসাহিত করে। আপনার এরূপ কার্যকলাপ ও আচরণ কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য, কর্তব্যে অবহেলা ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।যা অসদাচরণের শামিল।নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে পুলিশ অ্যাকাডেমির এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে।
তবে এবার সেই শোকজের জবাবে তাঁরা কী ব্যাখা দেন সেটাই এখন দেখার। তবে শৃঙ্খলিত বাহিনীর প্রশিক্ষণে এই ধরনের আচরণকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত তাঁরা সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত। তাঁরা ৪০তম বিসিএসের অন্তর্গত। তাঁদের প্রশিক্ষণের সময় দৌড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা না দৌড়ে এলোমেলোভাবে হাঁটছিলেন বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন দৌড়ননি বলে খবর। এবার একেবারে জনে জনে শোকজের নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের এই অ্যাকাডেমিতে উঠছে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ। তবে এবারই প্রথম নয়। তিন দিনের মধ্যে তাঁদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কেন তাঁরা এই ধরনের কাণ্ড করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শৃঙ্খলিত ফোর্সেই যদি এই কাণ্ড হয় তবে তো স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে।