কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হানায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিনজন হলেন বাঙালি পর্যটক। এছাড়াও, আরও অনেক বাঙালি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন পহেলগাঁওয়ে। সেরকমই সদ্য বিয়ে করে হানিমুনের জন্য কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের নবদম্পতি। তবে জঙ্গি হানায় বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন এই দম্পতি। জঙ্গি হানা থেকে বেঁচে ফেরায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুজনে।
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে ‘মানুষখেকো’ জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলার ৩ বাসিন্দার!
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ওই দম্পতি সুদীপ্ত দাস এবং দেবশ্রুতি দাস বিয়ের পর কাশ্মীরে হানিমুনে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে হামলা চালায়। ওই এলাকাটি মিনি সুইজারল্যান্ড নামেও পরিচিত। সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল সুদীপ্ত এবং দেবশ্রুতির। তবে ঘটনাক্রমে সেখানে যাওয়ার আগে তাঁরা স্থানীয় একটি শিব মন্দির দর্শনে যান। সেখানে গিয়েই তাঁরা জঙ্গি হামলার কথা জানতে পারেন। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনওভাবে পহেলগাঁও থেকে শ্রীনগরে পৌঁছান তাঁরা।
হামলার বিষয়টি জানার পরে আতঙ্কে রয়েছেন দু'জনে এবং তাঁদের পরিবার। তবে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আপাতত তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন শ্রীনগরের একটি হোম স্টে'তে। তবে তাঁরা দ্রুত বাড়ি ফিরতে চাইছেন।
দেবশ্রুতি জানিয়েছেন, আটদিন আগে তাঁরা কাশ্মীর গিয়েছিলেন বেড়াতে। এই কয়েকটা দিন আনন্দের সঙ্গে কাটিয়েছেন। কিন্তু, অনেকের সঙ্গেই এই কদিন ঘুরেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বেঁচে নেই বলে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও, আরও জানা গিয়েছে, গত ১৮ তারিখ চাকদা থেকে ১৫-২০ জনের পর্যটক দলকে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন মানস দে। তাঁরাও ভালো আছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই বেশির ভাগ জায়গাতেই ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এলাকায়। অনেকেরই মিনি সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল তাঁরাও ফিরছেন। প্রসঙ্গত, জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতার দুজন এবং পুরুলিয়ার এক বাসিন্দা। পুরুলিয়ার নিহত পর্যটক মণীশরঞ্জন আইবি অফিসার ছিলেন। তিনি হায়দরাবাদে আইবি অফিসে সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।