আমেরিকায় অনুষ্ঠিত কনজার্ভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির মুখে নরেন্দ্র মোদীর নাম। বিশ্বের ডানপন্থী নেতাদের নিয়ে এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বক্তৃতা রাখেন ২২ ফেব্রুয়ারি। আর মেলোনি সেখানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, '১৯৯০-এর দশকে বিল ক্লিন্টন এবং টোনি ব্লেয়াররা বিশ্বের বামপন্থী এবং উদারপন্থী নেতাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। তখন তাঁদের স্টেটসম্যান আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। আর আজ যখন ট্রাম্প, মেলোনি, মিলায় বা মোদী কথা বলেন, তখন তাঁদেরকে গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।' (আরও পড়ুন: নিজের ভালোর জন্যেই শুল্ক কমানো উচিত ভারতের, বড় মন্তব্য নীতি আয়োগের CEO-র)
আরও পড়ুন: ইলনের পালটা নির্দেশ কাশের, এবার কি মাস্কের সঙ্গে কি 'সংঘাতে' FBI প্রধান প্যাটেল?
এদিকে বামপন্থীদের তোপ দেগে মেলোনি বলেন, 'এই বিশ্বের মানুষ বামপন্থীদের মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করেন না। বামপন্থীরা দ্বিচারী। তবে আমাদের এটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তারা যদি আমাদের ওপর কাদা ছোঁড়ে তাতে কিছু যায় আসে না। সাধারণ মানুষ আমাদের জন্যে ভোট দিয়ে চলেছে। এদিকে আমেরিকায় ট্রাম্পের জয়ের ফলে বামপন্থীতের জ্বলন হিস্টেরিয়াতে পরিণত হয়েছে। আমরা ডানপন্থীরা স্বাধীনতা ভালোবাসি। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। আমরা সীমান্ত সুরক্ষায় বিশ্বাসী। আমরা ব্যবসা এবং নাগরিকদের কথা ভাবি। আমরা পরিবার এবং জীবনের মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমাদের বাকস্বাধীনতা এবং বিশ্বাসকে রক্ষা করি। তাই আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তবে ভোটারজেন জন্যে বিকল্পটা খুব সোজা। কারণ আমরা কমন সেন্সের জন্যে লড়াই করি।' (আরও পড়ুন: এশিয়ার সবচেয়ে ধনী পাঁচ পরিবারে ভারতের ২, শীর্ষ ২০-তে আরও ৪ নাম, তাতেও নেই আদানি)
আরও পড়ুন: ভারতের মাথায় 'বাজ' ফেলতে 'প্রস্তুত হচ্ছেন' ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন…
২২ ফেব্রুয়ারি কনজারভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্প ফের ভারতকে ইউএস এইডের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি তোলেন। ট্রাম্প বলেন, 'নির্বাচনে ভারতকে সাহায্য করার জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন? কেন আমরা পুরানো কাগজের ব্যালটে ফিরে যাচ্ছি না, এবং আমাদের নির্বাচনে বরং তাদের সহায়তা করতে দিই, তাই না? ভোটার আইডি দিলে ভালো হত না? আমরা নির্বাচনের জন্য ভারতকে টাকা দিচ্ছি। তাদের অর্থের প্রয়োজন নেই।' এরপর ভারতের শুল্ক নীতির প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, 'তারা আমাদের ভালোই সুযোগ নেয়। বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করা দেশ তারা। আমরা সেখানে কিছু বিক্রির চেষ্টা করলেই দেখি তারা ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বসে আছে। এরপর আমরা তাদের নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য প্রচুর অর্থ দিচ্ছি।'