সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশিদের একটা অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভারত দখলের' ডাক দিয়েছে। এরই মাঝে দুই দেশের মধ্যে ইন্টারনেটে 'লড়াই' জারি আছে। তবে এই দুই দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটারদেরই আবার একে অপরের 'সাহায্য' প্রয়োজন। ভারতীয় মিউজিক ছাড়া বাংলাদেশিরা যেন 'রিল' ভাবতেই পারেন না। আবার বাংলাদেশি 'খোরাক' ছাড়া অনেক ভারতীয় কনটেন্টের কথা ভাবতে পারেন না। এই আবহে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে 'রাহুল বাবা কি মস্তি' নামক একটি পেজের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদে উঠে ভিডিয়ো করছেন সেই ভ্লগার। (আরও পড়ুন: ডোকলামের কাছে ভুটানের ভূখণ্ডে ২২টি গ্রাম গড়ে তুলেছে চিন, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: এবার টিকিট কাটার নয়া নিয়ম কলকাতা মেট্রোর স্টেশনে, কী জানাল কর্তৃপক্ষ?
আরও পড়ুন: মণিপুরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকে মিলেছে 'স্টারলিঙ্ক'? উদ্ধার ডিভাইস ঘিরে জল্পনা
উল্লেখ্য, ট্রেন সার্ফিং নামে পরিচিত এই ভয়ানক স্টান্টটি বাংলাদেশের মতো বহু দেশেই প্রচলিত। এই বিপজ্জনক স্টান্টটি করার সময় ভারতীয় ভ্লগারকে দেখা যায় ইঞ্জিনের মাথায় লাইটকে ঘিরে থাকা খাঁচার মতো কাঠামো ধরে থাকতে। যেন সেই খাঁচার রডগুলি তাঁর 'ঘোড়ার লাগাম'! এদিকে ভিডিয়ো করতে করতেই রাহুল গুপ্তা নামক সেই ভ্লগার দর্শকদের সতর্ক করে দিচ্ছেন সেই স্টান্টের ক্ষেত্রে। তবে নিজের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতাটিকে 'রোমাঞ্চকর' বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় ভ্লগার। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা ট্রেনের ইঞ্জিনের মাথায় বিচলিত না হয়েই শুয়ে আছেন রাহুল। সমুদ্রে ঢেউয়ের মধ্যে সার্ফিংয়ের সময় যেমন করে সার্ফাররা বোর্ডে শুয়ে থাকেন, খানিকটা তেমনই ভাবে শুয়ে ছিলেন রাহুল। তাই এই স্টান্টের নাম দেওয়া হয়েছে 'ট্রেন সার্ফিং'। এদিকে বিপজ্জনক এই স্টান্টের সময় নিজের ভিডিয়ো করতে দেখা যায় রাহুলকে। সেখানে তাঁকে বেশ শান্তই দেখিয়েছে। (আরও পড়ুন: কবে গদি ছাড়তে পারেন ইউনুস? তারিখ উল্লেখ করে বড় আপডেট দিলেন তাঁরই প্রেস সচিব)
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদীর, সেখানে ছিলেন শাহও
ভিডিয়োতে দর্শকদের উদ্দেশে রাহুল গুপ্তাকে বলতে শোনা যায়, 'বন্ধুগণ, আমি এখন যাত্রা করছি বাংলাদেশের ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদের ওপরে। আপনারা অবশ্য এই সব চেষ্টা করবেন না। আমি অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই ভিডিয়ো বানাচ্ছি।' সেই সময় আশেপাশের জায়গায়, রেললাইনের সামনের অংশ দেখান রাহুল। এই আবহে একজন তাঁর পোস্টে কমেন্ট করেন, 'এটা খুবই বেপরোয়া। ভিউজ পাওয়ার জন্যে নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন তিনি।' অপর একজন লেখেন, 'যুব প্রজন্মের সামনে এটা কী ধরণের উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে?' তৃতীয় এক নেটিজেন লেখেন, 'একটা ভুলেই সব শেষ হয়ে যাবে। এত ঝুঁকি নেওয়ার মানে হয় না।' আরও একজন লেখেন, 'এটা সাহসিকতা নয়, বোকামো।' এক নেটিজেন আবার দাবি করেন যাতে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন।