শিশুদের কাশির সিরাপ নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। অভিভাবকদের অনেকেই আছেন যারা বাঁচাদের কাশি হলেই সিরাপের ওপর ভরসা রাখেন। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই দোকানে গিয়ে কাশির ওষুধ কিনে আনেন। কিন্তু, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের কাশির সিরাপ শিশুদের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়। এই অবস্থায় ৪ বছরের নিচে শিশুদের যখন কাশির সিরাপ খাওয়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা। এই সিরাপগুলির মধ্যে চার রকমের কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে ৬৮জনের মৃত্যু, ভারতীয় সহ ২৩জনের জেল উজবেকিস্তানে
জানা গিয়েছে, কাশির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা রকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধদের ব্যবহারে প্রভাব সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। সাধারণত বাজারে প্রচুর ধরনের কাশির সিরাপ পাওয়া যায়। সেগুলি সব অবশ্য ক্ষতিকারক নয়। তবে ‘ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন’-এর ওষুধগুলি বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের ৪ রকমের কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, এই ধরনের ওষুধগুলিতে ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট ও এবং ফেনাইলাইফ্রিন হাইড্রোক্লোরাইড এই ধরনের উপাদান থাকে, যা চার বছরের নিচে শিশুদের পক্ষে ক্ষতিকারক। কেন্দ্রের তরফে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওষুধে কী উপাদান রয়েছে সিরাপের বোতলের প্যাজেজিংয়ে উল্লেখ করতে হবে।
১৫ এপ্রিল জারি করা কেন্দ্রের নির্দেশে বলা হয়েছে, চার বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য ক্লোরফেনিরামিন ম্যালেট এবং ফেনাইলাইফ্রিন হাইড্রোক্লোরাইড ধারণকারী ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন কাশির সিরাপ উৎপাদন, বিতরণ এবং বিক্রয় করা যাবে না। জানা যাচ্ছে, এই ধরনের ওষুধের ফলে শিশুর শরীরে নানারকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে তন্দ্রাচ্ছন্নতা, ঘুমের অভ্যাস বদলে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া প্রভৃতি। এর পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উপরেও প্রভাব পড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তাই এমন ওষুধের বিক্রি বন্ধ করতে বলেছে কেন্দ্র।